চান্দিনা পৌর ভবন সংস্কারে ৪০ লাখ টাকার অনিয়মের অভিযোগ, প্রকল্পে দুর্নীতির ছায়া
- আপডেট: ১২:০৯:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫
- / ৭৬
কুমিল্লার চান্দিনা পৌর ভবনের সংস্কার কাজে ৪০ লাখ টাকার উন্নয়ন প্রকল্পে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। পৌর ভবনের প্রধান ফটক ও সীমানা প্রাচীর উন্নয়ন কাজে ব্যবহৃত নিম্নমানের মালামাল এবং শিডিউল না মানার বিষয়টি তুলে ধরেছেন মো. আসাদুজ্জামান দুলাল।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) পৌর প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন তিনি। অভিযোগে বলা হয়েছে, ৪০ লাখ টাকার সংস্কার কাজের মধ্যে ১৬ লাখ টাকার এসএস (স্টেইনলেস স্টিল) গেট ও গ্রিলে নিম্নমানের মালামাল সরবরাহ করা হয়েছে এবং ঠিক সময়ে কাজ হচ্ছে না। দুলাল জানান, যদি তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, পৌরসভা উল্লেখযোগ্য ক্ষতির মুখে পড়বে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কুমিল্লা জেলার ৭টি পৌরসভার অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় (আইডিএফপিসি) চান্দিনা পৌরসভার দুই পাশের সীমানা প্রাচীর, এসএস গ্রিল ও চারটি ফটক নির্মাণের জন্য ২০২৪ সালের ২০ নভেম্বর দরপত্র আহ্বান করা হয়। ৪০ লাখ টাকার কাজটি পায় ‘মেসার্স নজরুল এন্টারপ্রাইজ’।
প্রকল্প অনুযায়ী ১.১ মিটার উচ্চতা ও ৭৪ মিটার দৈর্ঘ্যের প্রাচীরের গ্রিল এবং ছোট-বড় চারটি গেটে ১.৫ এমএম পুরুত্বের পাইপ ব্যবহার করা হওয়ার কথা থাকলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ১ এমএম পাইপ ব্যবহার করেছে। এছাড়া সীমানা প্রাচীরে ব্যবহৃত ইট ও কংক্রিটের মানও অভিযোগে কম নেওয়া হয়েছে।
অভিযোগকারীর বক্তব্য, “পৌর ভবনের উন্নয়ন কাজে যদি এমন অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়, তাহলে বাকি কাজ কিভাবে হবে? এখানে সর্বোচ্চ ১ এমএম পাইপ ব্যবহার করা হয়েছে, এতে খরচ কমেছে ৪০ শতাংশ।”
ঠিকাদার মো. নজরুল ইসলাম বলেন, “আমি ওয়ার্কশপে ১.৫ এমএম পাইপ দিয়েছি। যদি ওয়ার্কশপ মালিক কোনো অনিয়ম করে থাকে, আমরা শিডিউল মোতাবেক কাজ সম্পন্ন করব।”
চান্দিনা পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মো. সাজ্জাত হাসান জানান, “সব কাজ একসঙ্গে দেখা সম্ভব নয়। কাজ শেষে আমরা মান যাচাই করে নেবো, মান না হলে ঠিকাদার পরিবর্তন করব।”
পৌর প্রশাসক ও ইউএনও মোহাম্মদ আশরাফুল হক জানান, “ঠিকাদারকে এ পর্যন্ত মোট বিলের ১৫ শতাংশ প্রদান করা হয়েছে। বাকি কাজ শিডিউল অনুযায়ী সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে। কাজে ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ নেই।”
















