০৯:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫

স্বজনকে চিরবিদায় দিয়ে ফেরার পথে যুবদলকর্মী সেলিম স্ত্রী-কন্যার সামনেই বোরকাপরা দুর্বৃত্তের গুলিতে খুন

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট: ০৮:১৯:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫
  • / ৫৮

চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় জানাজা শেষে বাড়ি ফেরার পথে স্ত্রী ও কন্যার সামনে মো. সেলিম (৪৫) নামের এক যুবদলকর্মীকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করেছে চার দুর্বৃত্ত।
রোববার (৬ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে কদলপুর ইউনিয়নের ঈশান ভট্টের হাটে শান্তি ফার্মেসীর সামনে এ ঘটনাটি ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, বোরকা পরে আসা চার যুবক সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে নেমে সেলিমকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।

নিহত মো. সেলিম কদলপুর ইউনিয়নের ইসলামিয়া নতুন পাড়া এলাকার আমির হোসেনের ছেলে। তিনি জানে আলম গ্রুপের ঘনিষ্ঠ হিসেবে এলাকায় পরিচিত ছিলেন।

স্থানীয়রা জানান, সেলিম একই ইউনিয়নের সমশের পাড়ায় তার এক আত্মীয়ার জানাজা ও দাফন শেষে স্ত্রী ও কন্যাকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে ঈশান ভট্টের হাটে ওষুধ কেনার সময় হত্যাকাণ্ডের শিকার হন।

রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ডা. পুজা মল্লিক জানান, নিহতের মুখমণ্ডলের বাম পাশে গুলির আঘাতে থেঁতলে যায়, অপর একটি গুলি লাগে কোমরে। তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভুঁইয়া বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে দুই পক্ষের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে। মো. সেলিম ছিলেন জানে আলম গ্রুপের একজন সক্রিয় কর্মী। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এই দ্বন্দ্বের জেরেই তাকে হত্যা করা হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

স্বজনকে চিরবিদায় দিয়ে ফেরার পথে যুবদলকর্মী সেলিম স্ত্রী-কন্যার সামনেই বোরকাপরা দুর্বৃত্তের গুলিতে খুন

আপডেট: ০৮:১৯:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫

চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় জানাজা শেষে বাড়ি ফেরার পথে স্ত্রী ও কন্যার সামনে মো. সেলিম (৪৫) নামের এক যুবদলকর্মীকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করেছে চার দুর্বৃত্ত।
রোববার (৬ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে কদলপুর ইউনিয়নের ঈশান ভট্টের হাটে শান্তি ফার্মেসীর সামনে এ ঘটনাটি ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, বোরকা পরে আসা চার যুবক সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে নেমে সেলিমকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।

নিহত মো. সেলিম কদলপুর ইউনিয়নের ইসলামিয়া নতুন পাড়া এলাকার আমির হোসেনের ছেলে। তিনি জানে আলম গ্রুপের ঘনিষ্ঠ হিসেবে এলাকায় পরিচিত ছিলেন।

স্থানীয়রা জানান, সেলিম একই ইউনিয়নের সমশের পাড়ায় তার এক আত্মীয়ার জানাজা ও দাফন শেষে স্ত্রী ও কন্যাকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে ঈশান ভট্টের হাটে ওষুধ কেনার সময় হত্যাকাণ্ডের শিকার হন।

রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ডা. পুজা মল্লিক জানান, নিহতের মুখমণ্ডলের বাম পাশে গুলির আঘাতে থেঁতলে যায়, অপর একটি গুলি লাগে কোমরে। তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভুঁইয়া বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে দুই পক্ষের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে। মো. সেলিম ছিলেন জানে আলম গ্রুপের একজন সক্রিয় কর্মী। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এই দ্বন্দ্বের জেরেই তাকে হত্যা করা হয়েছে।