০৯:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫

বড়পুকুরিয়া কোলমাইনিং কো: লি: স্ক্রাপ মালামাল বিক্রিতে বিশাল বড় অনিয়ম

ডেস্ক নিউজ
  • আপডেট: ০২:৫০:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
  • / ৭৯

উপ-পরিচালক মেজর (অব.) জিয়াউল আহসানের নেতৃত্বে লুটেপুটে খাচ্ছেন স্ক্রাপ ব্যবসায়ী আলমগীর

স্টাফ রিপোর্টার:
ট্রেডিং ডিভিশন (সেনা কল্যাণ সংস্থার) উপ-পরিচালক (অব.) মেজর( অব.) জিয়াউল আহসান এবং স্ক্রাপ ব্যবসায়ী আলমগীরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। স্ক্রাপ ব্যবসায়ীদের তথ্যসূত্রে জানা যায়, তারা একে অপরকে অবৈধ কাজে সহযোগিতা ও ঘুষ-বাণিজ্য করে কোটি কোটি টাকা ভাগ বাটোরা করে লুটেপুটে খাচ্ছেন। তারা, বড়পকুরিয়া কোলমাইনিং কোম্পানী লিমিটেড ও সুনামধন্য প্রতিষ্ঠান সেনা কল্যান সংস্থাকে দুর্নীতির আখড়া গড়ে তোলেন, এরকম অনিয়ম-দুর্নীতি চলতে থাকলে এবং কিছু অসাধু সেনা কর্মকর্তার এধরণের আচরণ সেনা কল্যাণ সংস্থা সহ গোটা সেনাবাহিনীর সুনাম ও ভাবমূর্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে বলে ব্যবসায়িক মহল জানান।

মেজর (অব.) জিয়াউল আহসান বলেন, বড় পুকুরিয়ার সব মাল আমিই খাব, সেখানে অন্য কেউ হস্তক্ষে করতে পারবে না, আমি একজন আর্মির পারসন কর্মকর্তা। আমার প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে আমি আবারো মালামালের অর্ডার করে খাবো অন্যান্য ব্যবসায়িরা জিয়াউল ও আলমগীরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তোলেন। স্ক্রাপ মালামাল প্রতিষ্ঠান থেকে জানা যায়, ক্রয় ও ডেলভারির ক্ষেত্রে বড়পুকুরিয়া কোলমাইনিং ও সেনা কল্যাণ সংস্থার কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও প্রভাবশালী মহলের ষড়যন্ত্রের শিকার হন সৎ ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর সরদার ও অন্যঅন্য ব্যবসায়ীরা।

হানিফ আয়রন স্টোর ও নার্গিস এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো: মফিজুল ইসলাম এবং প্রো: মেসাস রহিমা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী লিখিত পৃথক পৃথক অভিযোগ করে বলেন, ৫-জন মিলে সেনা কল্যাণ সংস্থার নামে স্ক্রাপ মালামাল অর্ডার করানো হয়। সেনা কল্যাণ সংস্থার ১০% কমিশন, ভ্যাট ও ট্যাক্স সম্পূর্ণ বুঝিয়ে দেওয়ার পর ব্যবসায়ীক পার্টনার আলমগীর হোসেনকে হিসাব নিকাশের জন্য ডাকলে সে আসেনা। আলমগীর কে ধরাছোঁয়ার বাহিরে রাখেন মেজর (অব) জিয়াউল আহসান

নিলাম স্মারক নং- ২৮,১২,০০০০/৫৪২/৩৬.০০১.২১/১০- (২৪-৩-২০২৪ খ্রি) এবং (১৮-৪-২০২৪ খ্রি) অ্যাওয়ার্ড স্মারক নং ২৮.১২.০০০০.৫৪২/৩৬.০০১.২১/৫১
অনুসারে, বড়পুকুরিয়া কোলমাইনিং কোম্পানির চাপ মালামাল বৈধভাবে ক্রয় করে চুক্তি অনুযায়ী ৯ কোটি টাকা, পরিশোধ করে মালামাল উত্তোলন করার প্রস্তুতি গ্রহণ করেন, মেসার্স রহিমা এন্টারপ্রাইজ। উক্ত কোম্পানি ১১৬ টন মালামাসা উত্তোলন করার পর একটি অসাধু চক্র ও কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি ক্রয়কৃত ভাগগুলো অন্যত্র ডেলিভারি দেওয়ার জন্য অন্যায়ভাবে চাপ প্রয়োগ করে। অসাধু ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন, সেনা কল্যাণ সংস্থার ট্রেডিং ডিভিশনের উপ-পরিচালক মেজর (অব.) জিয়াউল আহসানের সাথে যোগসাজস করে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন।

মেজর জিয়াউল আহসান বেআইনিভাবে মহামান্য উচ্চ আদালতের নিষেধ ধাক্কা অমান্য করে সেনা কল্যাণ সংস্থার প্যাড ব্যবহার করে “মালামাল উত্তোলনের এখন আর আইনি বাধা নেই” মর্মে মিথ্যা চিঠি ইস্যু করেন বড়পুকুরিয়া কোলমাইনিং, মেজর (অব.)জিয়াউল আহসান।
তিনি আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তার অবৈধ কার্যক্রমকে অব্যাহত রেখে মালামাল ডেলিভারির কার্যক্রম চলমান রেখেছেন।
এটাকে আদালত অবমাননার শামিল বলে উল্লেখ করেছেন, ব্যবসায়িক মহল, মেসার্স রাব্বি এন্টারপ্রাইজ তারা সেনা কল্যাণ সংস্থার ট্রেডিং ডিভিশনের সাথে একাধিকবার লিখিত ও মৌখিকভাবে আবেদন-নিবেদন করে ব্যর্থ হয়েছেন। তাদের চুক্তিভিত্তিক অধিকার অগ্রাহ্য করে ক্রয়কৃত মালামাল অন্যত্র ডেলিভারি দিয়ে চুক্তি ভঙ্গ করে প্রতিষ্ঠানটিকে ব্যবসায়িকভাবে বিপুল পরিমাণ ক্ষতিগ্রস্ত করেছেন।

মেজর (অব) জিয়াউল আহসান ও আলমগীর হোসেনের সকল অপকর্মকে আড়াল করে ধরাছোঁয়ার বাইরে রাখেন, ফলাফল- অবৈধভাবে ঘুষ-বাণিজ্যের টাকা ভাগাভাগি করে খাওয়ার কূট কৌশল মাত্র। পার্টনার আলমগীর হোসেনের বৈধ গ্রহণযোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও উপ-পরিচালক জিয়াউল আহসান, আলমগীর হোসেনের দেওয়া কোটি কোটি টাকার ঘুষের বিনিময় সকল সাপোর্ট দিচ্ছেন। জিয়াউল আহসান ব্যসায়ীদেরকে হুমকি দিয়ে বলেন, আমার কথার বাইরে গেলে, স্ক্রাপ ক্রয় ও ডেলিভারির সব বন্ধ করে দিব। এবং মিথ্যা মামলার ও প্রশাসান দিয়ে হয়রানি করেন। ব্যবসায়ীদের মেজর অব.জিয়াউল আহসান ভুক্তভোগী ও সংক্ষুদ্ধদের দেওয়া অভিযোগ থেকে এসব তথ্য পাওয়া।

ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর ও মফিজ বলেন আমাদের কাছ থেকে সেনা কল্যান সংস্থার ১০% লভ্যাংশের ৮% মিজান-মফিজ এবং রহিমা এন্টারপ্রাইজ ২% পরিশোধ করেন।
আমাদেরকে ১১৬ টন মাল ডেলিভারি প্রদানও করেন আর সেনা কল্যান সংস্থার প্যাডে আমাদের ১০০০ টন মালামাল ডেলিভারি নেওয়ার অনুমতি প্রদান করেন সেনা কল্যাণ সংস্থার প্যাডে
এমনকি মালামাল এর প্রধান প্রতিনিধি মিজানুর রহমান ও মফিজ নিজে লিখিত ও মৌখিকভাবে সেনা কল্যান সংস্থায় আমাদের নিকট মালামালসমূহ বিক্রয়ের বিষয়টি উল্লেখ করেছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

বড়পুকুরিয়া কোলমাইনিং কো: লি: স্ক্রাপ মালামাল বিক্রিতে বিশাল বড় অনিয়ম

আপডেট: ০২:৫০:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫

উপ-পরিচালক মেজর (অব.) জিয়াউল আহসানের নেতৃত্বে লুটেপুটে খাচ্ছেন স্ক্রাপ ব্যবসায়ী আলমগীর

স্টাফ রিপোর্টার:
ট্রেডিং ডিভিশন (সেনা কল্যাণ সংস্থার) উপ-পরিচালক (অব.) মেজর( অব.) জিয়াউল আহসান এবং স্ক্রাপ ব্যবসায়ী আলমগীরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। স্ক্রাপ ব্যবসায়ীদের তথ্যসূত্রে জানা যায়, তারা একে অপরকে অবৈধ কাজে সহযোগিতা ও ঘুষ-বাণিজ্য করে কোটি কোটি টাকা ভাগ বাটোরা করে লুটেপুটে খাচ্ছেন। তারা, বড়পকুরিয়া কোলমাইনিং কোম্পানী লিমিটেড ও সুনামধন্য প্রতিষ্ঠান সেনা কল্যান সংস্থাকে দুর্নীতির আখড়া গড়ে তোলেন, এরকম অনিয়ম-দুর্নীতি চলতে থাকলে এবং কিছু অসাধু সেনা কর্মকর্তার এধরণের আচরণ সেনা কল্যাণ সংস্থা সহ গোটা সেনাবাহিনীর সুনাম ও ভাবমূর্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে বলে ব্যবসায়িক মহল জানান।

মেজর (অব.) জিয়াউল আহসান বলেন, বড় পুকুরিয়ার সব মাল আমিই খাব, সেখানে অন্য কেউ হস্তক্ষে করতে পারবে না, আমি একজন আর্মির পারসন কর্মকর্তা। আমার প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে আমি আবারো মালামালের অর্ডার করে খাবো অন্যান্য ব্যবসায়িরা জিয়াউল ও আলমগীরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তোলেন। স্ক্রাপ মালামাল প্রতিষ্ঠান থেকে জানা যায়, ক্রয় ও ডেলভারির ক্ষেত্রে বড়পুকুরিয়া কোলমাইনিং ও সেনা কল্যাণ সংস্থার কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও প্রভাবশালী মহলের ষড়যন্ত্রের শিকার হন সৎ ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর সরদার ও অন্যঅন্য ব্যবসায়ীরা।

হানিফ আয়রন স্টোর ও নার্গিস এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো: মফিজুল ইসলাম এবং প্রো: মেসাস রহিমা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী লিখিত পৃথক পৃথক অভিযোগ করে বলেন, ৫-জন মিলে সেনা কল্যাণ সংস্থার নামে স্ক্রাপ মালামাল অর্ডার করানো হয়। সেনা কল্যাণ সংস্থার ১০% কমিশন, ভ্যাট ও ট্যাক্স সম্পূর্ণ বুঝিয়ে দেওয়ার পর ব্যবসায়ীক পার্টনার আলমগীর হোসেনকে হিসাব নিকাশের জন্য ডাকলে সে আসেনা। আলমগীর কে ধরাছোঁয়ার বাহিরে রাখেন মেজর (অব) জিয়াউল আহসান

নিলাম স্মারক নং- ২৮,১২,০০০০/৫৪২/৩৬.০০১.২১/১০- (২৪-৩-২০২৪ খ্রি) এবং (১৮-৪-২০২৪ খ্রি) অ্যাওয়ার্ড স্মারক নং ২৮.১২.০০০০.৫৪২/৩৬.০০১.২১/৫১
অনুসারে, বড়পুকুরিয়া কোলমাইনিং কোম্পানির চাপ মালামাল বৈধভাবে ক্রয় করে চুক্তি অনুযায়ী ৯ কোটি টাকা, পরিশোধ করে মালামাল উত্তোলন করার প্রস্তুতি গ্রহণ করেন, মেসার্স রহিমা এন্টারপ্রাইজ। উক্ত কোম্পানি ১১৬ টন মালামাসা উত্তোলন করার পর একটি অসাধু চক্র ও কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি ক্রয়কৃত ভাগগুলো অন্যত্র ডেলিভারি দেওয়ার জন্য অন্যায়ভাবে চাপ প্রয়োগ করে। অসাধু ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন, সেনা কল্যাণ সংস্থার ট্রেডিং ডিভিশনের উপ-পরিচালক মেজর (অব.) জিয়াউল আহসানের সাথে যোগসাজস করে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন।

মেজর জিয়াউল আহসান বেআইনিভাবে মহামান্য উচ্চ আদালতের নিষেধ ধাক্কা অমান্য করে সেনা কল্যাণ সংস্থার প্যাড ব্যবহার করে “মালামাল উত্তোলনের এখন আর আইনি বাধা নেই” মর্মে মিথ্যা চিঠি ইস্যু করেন বড়পুকুরিয়া কোলমাইনিং, মেজর (অব.)জিয়াউল আহসান।
তিনি আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তার অবৈধ কার্যক্রমকে অব্যাহত রেখে মালামাল ডেলিভারির কার্যক্রম চলমান রেখেছেন।
এটাকে আদালত অবমাননার শামিল বলে উল্লেখ করেছেন, ব্যবসায়িক মহল, মেসার্স রাব্বি এন্টারপ্রাইজ তারা সেনা কল্যাণ সংস্থার ট্রেডিং ডিভিশনের সাথে একাধিকবার লিখিত ও মৌখিকভাবে আবেদন-নিবেদন করে ব্যর্থ হয়েছেন। তাদের চুক্তিভিত্তিক অধিকার অগ্রাহ্য করে ক্রয়কৃত মালামাল অন্যত্র ডেলিভারি দিয়ে চুক্তি ভঙ্গ করে প্রতিষ্ঠানটিকে ব্যবসায়িকভাবে বিপুল পরিমাণ ক্ষতিগ্রস্ত করেছেন।

মেজর (অব) জিয়াউল আহসান ও আলমগীর হোসেনের সকল অপকর্মকে আড়াল করে ধরাছোঁয়ার বাইরে রাখেন, ফলাফল- অবৈধভাবে ঘুষ-বাণিজ্যের টাকা ভাগাভাগি করে খাওয়ার কূট কৌশল মাত্র। পার্টনার আলমগীর হোসেনের বৈধ গ্রহণযোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও উপ-পরিচালক জিয়াউল আহসান, আলমগীর হোসেনের দেওয়া কোটি কোটি টাকার ঘুষের বিনিময় সকল সাপোর্ট দিচ্ছেন। জিয়াউল আহসান ব্যসায়ীদেরকে হুমকি দিয়ে বলেন, আমার কথার বাইরে গেলে, স্ক্রাপ ক্রয় ও ডেলিভারির সব বন্ধ করে দিব। এবং মিথ্যা মামলার ও প্রশাসান দিয়ে হয়রানি করেন। ব্যবসায়ীদের মেজর অব.জিয়াউল আহসান ভুক্তভোগী ও সংক্ষুদ্ধদের দেওয়া অভিযোগ থেকে এসব তথ্য পাওয়া।

ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর ও মফিজ বলেন আমাদের কাছ থেকে সেনা কল্যান সংস্থার ১০% লভ্যাংশের ৮% মিজান-মফিজ এবং রহিমা এন্টারপ্রাইজ ২% পরিশোধ করেন।
আমাদেরকে ১১৬ টন মাল ডেলিভারি প্রদানও করেন আর সেনা কল্যান সংস্থার প্যাডে আমাদের ১০০০ টন মালামাল ডেলিভারি নেওয়ার অনুমতি প্রদান করেন সেনা কল্যাণ সংস্থার প্যাডে
এমনকি মালামাল এর প্রধান প্রতিনিধি মিজানুর রহমান ও মফিজ নিজে লিখিত ও মৌখিকভাবে সেনা কল্যান সংস্থায় আমাদের নিকট মালামালসমূহ বিক্রয়ের বিষয়টি উল্লেখ করেছেন।