১০:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫

পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার ভয়াবহ পরিণতির দায় যুক্তরাষ্ট্রকেই নিতে হবে: ইর

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট: ১০:৫৪:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫
  • / ৫৫
বর্তমান কথা | আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্রের পরিচালিত সাম্প্রতিক বিমান হামলার কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বলেছেন, “পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার জবাব দেওয়ার অধিকার ইরানের আছে।”

রোববার (২২ জুন) তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)–এর বৈঠকের সাইডলাইনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহানে অবস্থিত পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালিয়ে আন্তর্জাতিক আইন এবং জাতিসংঘ সনদের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করেছে।”

তিনি আরও বলেন, “এই ধরণের আক্রমণাত্মক পদক্ষেপের ভয়াবহ পরিণতির দায় সম্পূর্ণভাবে যুক্তরাষ্ট্রকেই নিতে হবে। আমরা জাতিসংঘ সনদের অধীনে আত্মরক্ষার স্বীকৃত অধিকার প্রয়োগ করব।”

আরাগচি জানান, ইরান কখনো তার সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার বিষয়ে আপস করবে না। তেহরান আত্মরক্ষার জন্য “সকল সম্ভাব্য এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও সমাধান” ব্যবহারে প্রস্তুত আছে।

তিনি যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আমরা পাল্টা প্রতিক্রিয়ার জন্য একাধিক কৌশলগত উপায় বিবেচনায় রেখেছি। আমাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও সক্রিয় রয়েছে।”

সংবাদ সম্মেলনে আরাগচি স্পষ্ট করে দেন, ইরানের বিরুদ্ধে চলমান আগ্রাসন বন্ধ না হলে কূটনৈতিক আলোচনা পুনরায় শুরু করার কোনো সুযোগ নেই। “তেহরান কেবল তখনই আলোচনায় ফিরবে, যখন আগ্রাসন সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হবে,”—বলেন তিনি।

প্রসঙ্গত, শনিবার (২১ জুন) যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালায়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পরে ঘোষণা দেন যে, এই তিনটি স্থাপনায় “সফল হামলা” চালানো হয়েছে। মার্কিন প্রশাসনের দাবি অনুযায়ী, হামলার লক্ষ্য ছিল—ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রমে বিঘ্ন সৃষ্টি করা।

এই ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে, এবং পরবর্তী প্রতিক্রিয়ার দিকে তাকিয়ে রয়েছে গোটা বিশ্ব।

Please Share This Post in Your Social Media

পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার ভয়াবহ পরিণতির দায় যুক্তরাষ্ট্রকেই নিতে হবে: ইর

আপডেট: ১০:৫৪:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫
বর্তমান কথা | আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্রের পরিচালিত সাম্প্রতিক বিমান হামলার কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বলেছেন, “পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার জবাব দেওয়ার অধিকার ইরানের আছে।”

রোববার (২২ জুন) তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)–এর বৈঠকের সাইডলাইনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহানে অবস্থিত পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালিয়ে আন্তর্জাতিক আইন এবং জাতিসংঘ সনদের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করেছে।”

তিনি আরও বলেন, “এই ধরণের আক্রমণাত্মক পদক্ষেপের ভয়াবহ পরিণতির দায় সম্পূর্ণভাবে যুক্তরাষ্ট্রকেই নিতে হবে। আমরা জাতিসংঘ সনদের অধীনে আত্মরক্ষার স্বীকৃত অধিকার প্রয়োগ করব।”

আরাগচি জানান, ইরান কখনো তার সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার বিষয়ে আপস করবে না। তেহরান আত্মরক্ষার জন্য “সকল সম্ভাব্য এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও সমাধান” ব্যবহারে প্রস্তুত আছে।

তিনি যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আমরা পাল্টা প্রতিক্রিয়ার জন্য একাধিক কৌশলগত উপায় বিবেচনায় রেখেছি। আমাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও সক্রিয় রয়েছে।”

সংবাদ সম্মেলনে আরাগচি স্পষ্ট করে দেন, ইরানের বিরুদ্ধে চলমান আগ্রাসন বন্ধ না হলে কূটনৈতিক আলোচনা পুনরায় শুরু করার কোনো সুযোগ নেই। “তেহরান কেবল তখনই আলোচনায় ফিরবে, যখন আগ্রাসন সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হবে,”—বলেন তিনি।

প্রসঙ্গত, শনিবার (২১ জুন) যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালায়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পরে ঘোষণা দেন যে, এই তিনটি স্থাপনায় “সফল হামলা” চালানো হয়েছে। মার্কিন প্রশাসনের দাবি অনুযায়ী, হামলার লক্ষ্য ছিল—ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রমে বিঘ্ন সৃষ্টি করা।

এই ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে, এবং পরবর্তী প্রতিক্রিয়ার দিকে তাকিয়ে রয়েছে গোটা বিশ্ব।