০৭:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫

ক্রয় ও সংরক্ষণ বিভাগে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি

ডেস্ক নিউজ
  • আপডেট: ০২:০০:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫
  • / ৭৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ – পরিবহন কর্তৃপক্ষ( BIWTA) এর ক্রয় ও সংরক্ষণ বিভাগ ২০২৪ -২০২৫ বাজেটে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের তথ্য পাওয়া গেছে। সরকার বদলালেও নীতি-পরিবর্তন হয় নাই BIWTA – তে। BIWTA–র কর্মকাণ্ডে কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি। বরং তারা তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।এটি স্পষ্ট করে যে, অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ তাদের কাজ ও পরিকল্পনায় ক্ষমতা পরিবর্তন হলেও BIWTA তে তার প্রভাব পড়েনি।

২০২৪ -২০২৫ বাজেট হইতে সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুমোদন শুধুমাত্র ৩ টি টেন্ডার E-GP তে করা হয়েছে, এর মধ্যে কর্মচারীদের জুতা, পোশাক সরবরাহ ও স্টেশনারি কাজ ছাড়া সকল টেন্ডার LTM এনালক পদ্ধতিতে করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে সহকারি পরিচালক আবুল কাশেম ও কেশিয়ার আব্দুস সালাম এর বিরুদ্ধে তাদের নেতৃত্বে নগদ ১০% টাকা লেনদেনের মাধ্যমে নিজের পছন্দের ঠিকাদার কোম্পানি R – Tech ও অন্যান্য কোম্পানিকে দিয়ে কোটি কোটি টাকা ঘুষ বাণিজ্য করেছেন এই সিন্ডিকেট। যার মধ্যে অন্যতম হলো কম্পিউটার সাপ্লাই, স্টেশনারি মালামাল সরবরাহ, মুদ্রণ ও ছাপাখানা। আরো উল্লেখ্য যে মুদ্রণ ও ছাপাখানা একটি মাত্র কোম্পানিকে দিয়ে কোটি কোটি টাকা বাণিজ্য করছে এই সিন্ডিকেট! যা হিসাববিভাগ ও নিরীক্ষা বিভাগ তদন্ত করিলে থলের খবর বের হয়ে আসবে। সদস্য অর্থ হইতে অতিরিক্ত অর্থ ছাড় করিয়াছে এই সিন্ডিকেট। গত ১৮/৬/২৫ ইং LTM টেন্ডার যাহা ক্যাশিয়ার আ : সালাম ঠিকাদারদের সিডিউল কিনতে দেয়নি এর আগেও একটি টেন্ডারে ক্যাশিয়ার আ: সালাম এরকম কাজ করেন প্রায় সময় বলে গোপন সূত্রে তথ্য পাওয়া যায় । ক্রয় ও সংরক্ষণ বিভাগের সহকারী পরিচালক আবুল কাশেম এসব ব্যাপারে সরাসরি জড়িত সরজমিনে তদন্ত করে জানা যায়। কিছুদিন আগে বরিশাল ও নারায়ণগঞ্জের সি সি টিভি ক্রয় ও দুর্নীতি হয়েছে এবং সাধারণ ঠিকাদারদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করতেছে । নাম প্রকাশে অনিচ্ছু একজন ঠিকাদার বলে আমরা সরকারকে ভ্যাট ট্যাক্স দেই আর প্রতিনিয়ত আমাদের হ্যারাসমেন্টের শিকার হতে হয় এটা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর। এসব বিষয়ের প্রতিবাদ করলে সাধারণ ঠিকাদার ও লোকাল ঠিকাদারদের আওয়ামী লীগের দোসর বলে আখ্যা দেয় এবং পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। যা সাধারণ ঠিকাদারদের ব্যবসা-বাণিজ্য করার হুমকি স্বরূপ । মাননীয় নৌপরিবহন উপদেষ্টা ও সচিব মহোদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করে তারা বলে এসবের সাথে যারা জড়িত তাদের বিচার হওয়া উচিত!
এসব থেকে সাধারণ ঠিকাদারা পরিত্রাণ চায় …
অনুসন্ধান চলবে

Please Share This Post in Your Social Media

ক্রয় ও সংরক্ষণ বিভাগে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি

আপডেট: ০২:০০:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ – পরিবহন কর্তৃপক্ষ( BIWTA) এর ক্রয় ও সংরক্ষণ বিভাগ ২০২৪ -২০২৫ বাজেটে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের তথ্য পাওয়া গেছে। সরকার বদলালেও নীতি-পরিবর্তন হয় নাই BIWTA – তে। BIWTA–র কর্মকাণ্ডে কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি। বরং তারা তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।এটি স্পষ্ট করে যে, অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ তাদের কাজ ও পরিকল্পনায় ক্ষমতা পরিবর্তন হলেও BIWTA তে তার প্রভাব পড়েনি।

২০২৪ -২০২৫ বাজেট হইতে সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুমোদন শুধুমাত্র ৩ টি টেন্ডার E-GP তে করা হয়েছে, এর মধ্যে কর্মচারীদের জুতা, পোশাক সরবরাহ ও স্টেশনারি কাজ ছাড়া সকল টেন্ডার LTM এনালক পদ্ধতিতে করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে সহকারি পরিচালক আবুল কাশেম ও কেশিয়ার আব্দুস সালাম এর বিরুদ্ধে তাদের নেতৃত্বে নগদ ১০% টাকা লেনদেনের মাধ্যমে নিজের পছন্দের ঠিকাদার কোম্পানি R – Tech ও অন্যান্য কোম্পানিকে দিয়ে কোটি কোটি টাকা ঘুষ বাণিজ্য করেছেন এই সিন্ডিকেট। যার মধ্যে অন্যতম হলো কম্পিউটার সাপ্লাই, স্টেশনারি মালামাল সরবরাহ, মুদ্রণ ও ছাপাখানা। আরো উল্লেখ্য যে মুদ্রণ ও ছাপাখানা একটি মাত্র কোম্পানিকে দিয়ে কোটি কোটি টাকা বাণিজ্য করছে এই সিন্ডিকেট! যা হিসাববিভাগ ও নিরীক্ষা বিভাগ তদন্ত করিলে থলের খবর বের হয়ে আসবে। সদস্য অর্থ হইতে অতিরিক্ত অর্থ ছাড় করিয়াছে এই সিন্ডিকেট। গত ১৮/৬/২৫ ইং LTM টেন্ডার যাহা ক্যাশিয়ার আ : সালাম ঠিকাদারদের সিডিউল কিনতে দেয়নি এর আগেও একটি টেন্ডারে ক্যাশিয়ার আ: সালাম এরকম কাজ করেন প্রায় সময় বলে গোপন সূত্রে তথ্য পাওয়া যায় । ক্রয় ও সংরক্ষণ বিভাগের সহকারী পরিচালক আবুল কাশেম এসব ব্যাপারে সরাসরি জড়িত সরজমিনে তদন্ত করে জানা যায়। কিছুদিন আগে বরিশাল ও নারায়ণগঞ্জের সি সি টিভি ক্রয় ও দুর্নীতি হয়েছে এবং সাধারণ ঠিকাদারদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করতেছে । নাম প্রকাশে অনিচ্ছু একজন ঠিকাদার বলে আমরা সরকারকে ভ্যাট ট্যাক্স দেই আর প্রতিনিয়ত আমাদের হ্যারাসমেন্টের শিকার হতে হয় এটা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর। এসব বিষয়ের প্রতিবাদ করলে সাধারণ ঠিকাদার ও লোকাল ঠিকাদারদের আওয়ামী লীগের দোসর বলে আখ্যা দেয় এবং পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। যা সাধারণ ঠিকাদারদের ব্যবসা-বাণিজ্য করার হুমকি স্বরূপ । মাননীয় নৌপরিবহন উপদেষ্টা ও সচিব মহোদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করে তারা বলে এসবের সাথে যারা জড়িত তাদের বিচার হওয়া উচিত!
এসব থেকে সাধারণ ঠিকাদারা পরিত্রাণ চায় …
অনুসন্ধান চলবে