০৯:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫

কক্সবাজার ভ্রমণে ঈদে ৭ দিনে ৪ লাখ পর্যটক, ব্যবসা প্রায় ৪ শত কোটি টাকার

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট: ০৯:০৩:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫
  • / ৪৫

কক্সবাজার

প্রতিনিধি // শাহিন আলম

ঈদুল আজহার ছুটিতে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের শহর কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল নামে। ৭ জুন ঈদের দিন থেকে শুরু করে ১৩ জুন পর্যন্ত টানা সাত দিনে ভ্রমণে আসেন প্রায় ৪ লাখ পর্যটক। এ সময়ে কক্সবাজারের হোটেল-মোটেল, খাবারের রেস্তোরাঁ, সৈকতের বিনোদন সরঞ্জাম, দোকানপাট ও পরিবহনসহ বিভিন্ন পর্যটন সংশ্লিষ্ট খাতে প্রায় ৪ শত কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে বলে জানিয়েছে কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি।

চেম্বার সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী খোকা জানান, ঈদে ভ্রমণকারী প্রতি পর্যটক গড়ে ১০ হাজার টাকা করে খরচ করেছেন। মূল পাঁচটি খাত—আবাসন, খাদ্য, সৈকতভিত্তিক বিনোদন, স্থানীয় পণ্য বিক্রি ও পরিবহন—মিলিয়ে এই অর্থনৈতিক গতি সৃষ্টির ধারণা করা হয়।

আবুল কাসেম সিকদার, কক্সবাজার আবাসিক হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি বলেন, প্রথম দিন পর্যটক তুলনামূলক কম থাকলেও পরবর্তী দিনগুলোতে ব্যাপক ভিড় দেখা গেছে। শুক্রবার (১৩ জুন) থেকে ভ্রমণকারীর সংখ্যা কমতে শুরু করে।

এছাড়া কক্সবাজারের লাবণী, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টে জলোচ্ছ্বাসের মতো ভিড় জমায় পর্যটকরা। তারা উপভোগ করছেন জেট স্কি, বিচ বাইক, ঘোড়ার পিঠে চড়া, কিটকটের চেয়ার, ও সৈকত ফটোগ্রাফারদের ক্যামেরায় মুহূর্ত ধরে রাখা। একই সঙ্গে স্থানীয় বার্মিজ দোকানগুলোতেও কেনাকাটায় ব্যস্ত ছিলেন পর্যটকরা—শুটকি, মুক্তার গহনা, শামুক-ঝিনুক ও আচার ছিল প্রধান আকর্ষণ।

হোটেল-মোটেল, কটেজ-রিসোর্ট থেকে শুরু করে রেস্টুরেন্ট ব্যবসাও ছিল জমজমাট। পর্যটকদের এই আগমন কক্সবাজারের ব্যবসা-বাণিজ্যে নতুন প্রাণ ফিরিয়ে এনেছে।

তবে, পর্যটক ও পর্যটন খাতের প্রকৃত পরিসংখ্যান নির্ধারণে সরকারিভাবে অনলাইন ডাটাবেইস তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন চেম্বার সভাপতি।

Please Share This Post in Your Social Media

কক্সবাজার ভ্রমণে ঈদে ৭ দিনে ৪ লাখ পর্যটক, ব্যবসা প্রায় ৪ শত কোটি টাকার

আপডেট: ০৯:০৩:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫
প্রতিনিধি // শাহিন আলম

ঈদুল আজহার ছুটিতে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের শহর কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল নামে। ৭ জুন ঈদের দিন থেকে শুরু করে ১৩ জুন পর্যন্ত টানা সাত দিনে ভ্রমণে আসেন প্রায় ৪ লাখ পর্যটক। এ সময়ে কক্সবাজারের হোটেল-মোটেল, খাবারের রেস্তোরাঁ, সৈকতের বিনোদন সরঞ্জাম, দোকানপাট ও পরিবহনসহ বিভিন্ন পর্যটন সংশ্লিষ্ট খাতে প্রায় ৪ শত কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে বলে জানিয়েছে কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি।

চেম্বার সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী খোকা জানান, ঈদে ভ্রমণকারী প্রতি পর্যটক গড়ে ১০ হাজার টাকা করে খরচ করেছেন। মূল পাঁচটি খাত—আবাসন, খাদ্য, সৈকতভিত্তিক বিনোদন, স্থানীয় পণ্য বিক্রি ও পরিবহন—মিলিয়ে এই অর্থনৈতিক গতি সৃষ্টির ধারণা করা হয়।

আবুল কাসেম সিকদার, কক্সবাজার আবাসিক হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি বলেন, প্রথম দিন পর্যটক তুলনামূলক কম থাকলেও পরবর্তী দিনগুলোতে ব্যাপক ভিড় দেখা গেছে। শুক্রবার (১৩ জুন) থেকে ভ্রমণকারীর সংখ্যা কমতে শুরু করে।

এছাড়া কক্সবাজারের লাবণী, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টে জলোচ্ছ্বাসের মতো ভিড় জমায় পর্যটকরা। তারা উপভোগ করছেন জেট স্কি, বিচ বাইক, ঘোড়ার পিঠে চড়া, কিটকটের চেয়ার, ও সৈকত ফটোগ্রাফারদের ক্যামেরায় মুহূর্ত ধরে রাখা। একই সঙ্গে স্থানীয় বার্মিজ দোকানগুলোতেও কেনাকাটায় ব্যস্ত ছিলেন পর্যটকরা—শুটকি, মুক্তার গহনা, শামুক-ঝিনুক ও আচার ছিল প্রধান আকর্ষণ।

হোটেল-মোটেল, কটেজ-রিসোর্ট থেকে শুরু করে রেস্টুরেন্ট ব্যবসাও ছিল জমজমাট। পর্যটকদের এই আগমন কক্সবাজারের ব্যবসা-বাণিজ্যে নতুন প্রাণ ফিরিয়ে এনেছে।

তবে, পর্যটক ও পর্যটন খাতের প্রকৃত পরিসংখ্যান নির্ধারণে সরকারিভাবে অনলাইন ডাটাবেইস তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন চেম্বার সভাপতি।