১০:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫

ঈদুল আজহার ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফেরা – রাজধানীতে মানুষের ঢল, পরিবহণ সংকট ও দুর্ভোগ চরমে

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট: ১০:৪০:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫
  • / ৪৮

ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরছে মানুষ

বিশেষ প্রতিনিধি: বর্তমান কথা

ঈদুল আজহার ছুটি শেষে রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছেন কর্মজীবী মানুষ। রোববার (১৫ জুন) থেকে অফিস-আদালত খুলে যাওয়ায় শনিবার (১৪ জুন) সকাল থেকেই ঢাকার প্রবেশমুখগুলোতে দেখা যায় মানুষের উপচে পড়া ভিড়। সদরঘাট, গাবতলী, মহাখালী, যাত্রাবাড়ী এবং কমলাপুর রেলস্টেশন—সব জায়গায়ই ছিল ঘরমুখো মানুষের বিপরীত দৃশ্য, কর্মস্থলে ফেরার কষ্টসাধ্য চেষ্টা।

সকালে দেশের দক্ষিণাঞ্চল থেকে একের পর এক লঞ্চ সদরঘাটে এসে ভিড়তে থাকে। প্রতিটি লঞ্চ ছিল যাত্রীতে পরিপূর্ণ। যদিও লঞ্চে অতিরিক্ত ভাড়ার অভিযোগ পাওয়া যায়নি, তবে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ সামলাতে গিয়ে অনেকেই দুর্ভোগে পড়েন।

রাজধানীর গাবতলী, মহাখালী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালগুলোতে নেমে দেখা গেছে শত শত যাত্রী। অনেকেই রিকশা বা অটোরিকশায় গন্তব্যে যাওয়ার চেষ্টা করছেন, আবার কেউ কেউ পায়ে হেঁটেই বাসার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।

ভ্যাপসা গরম ও তীব্র পরিবহণ সংকটে নাকাল হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। গণপরিবহণ সংকটের সুযোগ নিয়ে অনেক জায়গায় ৪ থেকে ৫ গুণ বেশি ভাড়া আদায় করেছে পরিবহণ চালকরা।শনিবার সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনগুলোতে উপচে পড়া যাত্রীদের ঢল নামে। অনেকে পরিবারসহ ফিরেছেন, কেউ এসেছেন একা। রেল কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, আগের দুই দিনের তুলনায় আজ যাত্রীর সংখ্যা ছিল বেশি।

ছুটি শেষে ঢাকায় ফেরা মানুষদের ভোগান্তির যেন শেষ নেই। যাত্রাপথের ক্লান্তি, তীব্র গরম, পরিবহণ সংকট, অতিরিক্ত ভাড়া—সব মিলিয়ে রাজধানীমুখী মানুষের ঈদ-পরবর্তী যাত্রা হয়ে উঠেছে দুর্ভোগের আরেক নাম।

Please Share This Post in Your Social Media

ঈদুল আজহার ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফেরা – রাজধানীতে মানুষের ঢল, পরিবহণ সংকট ও দুর্ভোগ চরমে

আপডেট: ১০:৪০:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫
বিশেষ প্রতিনিধি: বর্তমান কথা

ঈদুল আজহার ছুটি শেষে রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছেন কর্মজীবী মানুষ। রোববার (১৫ জুন) থেকে অফিস-আদালত খুলে যাওয়ায় শনিবার (১৪ জুন) সকাল থেকেই ঢাকার প্রবেশমুখগুলোতে দেখা যায় মানুষের উপচে পড়া ভিড়। সদরঘাট, গাবতলী, মহাখালী, যাত্রাবাড়ী এবং কমলাপুর রেলস্টেশন—সব জায়গায়ই ছিল ঘরমুখো মানুষের বিপরীত দৃশ্য, কর্মস্থলে ফেরার কষ্টসাধ্য চেষ্টা।

সকালে দেশের দক্ষিণাঞ্চল থেকে একের পর এক লঞ্চ সদরঘাটে এসে ভিড়তে থাকে। প্রতিটি লঞ্চ ছিল যাত্রীতে পরিপূর্ণ। যদিও লঞ্চে অতিরিক্ত ভাড়ার অভিযোগ পাওয়া যায়নি, তবে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ সামলাতে গিয়ে অনেকেই দুর্ভোগে পড়েন।

রাজধানীর গাবতলী, মহাখালী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালগুলোতে নেমে দেখা গেছে শত শত যাত্রী। অনেকেই রিকশা বা অটোরিকশায় গন্তব্যে যাওয়ার চেষ্টা করছেন, আবার কেউ কেউ পায়ে হেঁটেই বাসার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।

ভ্যাপসা গরম ও তীব্র পরিবহণ সংকটে নাকাল হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। গণপরিবহণ সংকটের সুযোগ নিয়ে অনেক জায়গায় ৪ থেকে ৫ গুণ বেশি ভাড়া আদায় করেছে পরিবহণ চালকরা।শনিবার সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনগুলোতে উপচে পড়া যাত্রীদের ঢল নামে। অনেকে পরিবারসহ ফিরেছেন, কেউ এসেছেন একা। রেল কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, আগের দুই দিনের তুলনায় আজ যাত্রীর সংখ্যা ছিল বেশি।

ছুটি শেষে ঢাকায় ফেরা মানুষদের ভোগান্তির যেন শেষ নেই। যাত্রাপথের ক্লান্তি, তীব্র গরম, পরিবহণ সংকট, অতিরিক্ত ভাড়া—সব মিলিয়ে রাজধানীমুখী মানুষের ঈদ-পরবর্তী যাত্রা হয়ে উঠেছে দুর্ভোগের আরেক নাম।