টেকনাফের গর্ব; সাবরাংয়ের ফারজানা আক্তার
- আপডেট: ১১:৪৭:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ জুন ২০২৫
- / ৪৯
শাহিন অলম, টেকনাফ // কক্সবাজার
টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের মন্ডল পাড়ার এক সম্ভ্রান্ত পরিবার থেকে উঠে আসা ফারজানা আক্তার সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়ে শুধু নিজ পরিবার নয়, গোটা এলাকার জন্য গর্বের প্রতীক হয়ে উঠেছেন।
সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য ও সুনামধন্য ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান এবং গৃহিণী মরিয়ম বেগমের কন্যা ফারজানা আক্তার তার শিক্ষা জীবন শুরু করেন শাহ ওয়ালীউল্লাহ স্কুল থেকে। এরপর গুলজার বেগম স্কুল, ইস্পাহানী পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে অধ্যয়ন করে তিনি উচ্চশিক্ষার জন্য প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটিতে অনার্স (এলএলবি) এবং মাস্টার্স (এলএলএম) সম্পন্ন করেন।
শুরুতে চট্টগ্রাম জর্জ কোর্টে আইন পেশায় যুক্ত হয়ে ধাপে ধাপে নিজেকে গড়ে তোলেন। আর এখন ঢাকায় সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়ে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করলেন।
আবেগঘন এক মুহূর্তে কালো ব্লেজার ও সাদা ব্যান্ড পরে মা-বাবার পাশে দাঁড়িয়ে যখন তিনি হাসছিলেন, তখন তার আত্মবিশ্বাসী চোখে ভবিষ্যতের দীপ্তি আর গর্বিত পিতা-মাতার চোখে আনন্দের অশ্রু ছিল স্পষ্ট।
অ্যাডভোকেট ফারজানা আক্তার বলেন, “এই অর্জনের পেছনে আমার মা-বাবার অক্লান্ত পরিশ্রম, নিরব সমর্থন এবং উৎসাহই সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে। বাবার হাতে হাইকোর্টের ব্যান্ড পরাতে পেরে আমি সত্যিই আবেগাপ্লুত। তিনি আমার ছায়া হয়ে পাশে থেকেছেন সবসময়। এই পেশার মর্যাদা আমি সারাজীবন অটুটভাবে রক্ষা করতে চাই। সকলের দোয়া ও ভালোবাসা কামনা করছি।”
তার পিতা হাবিবুর রহমান বলেন, “ফারজানার এই অর্জন শুধু আমাদের পরিবারের নয়, পুরো সমাজের জন্যই এক অনুপ্রেরণা। নারীর ক্ষমতায়ন, শিক্ষার গুরুত্ব এবং পারিবারিক সহযোগিতার বিষয়টি সে প্রমাণ করে দিয়েছে। তার সাফল্য নতুন প্রজন্মের জন্য পথ প্রদর্শক হবে।”
টেকনাফের মতো একটি সীমান্তবর্তী অঞ্চল থেকে উঠে এসে জাতীয় পর্যায়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা ফারজানা আক্তারের এই কৃতিত্ব সত্যিই এক গর্বের ঘটনা। তার এই অগ্রযাত্রা নিঃসন্দেহে নারী শিক্ষার অগ্রগতি, পরিবারিক বন্ধনের শক্তি এবং স্বপ্ন দেখার সাহসের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।