ভারী বর্ষণে উখিয়া-টেকনাফে দেড় হাজার পরিবার পানিবন্দি, পাহাড় ধসে প্রাণহান
- আপডেট: ০৮:৩৯:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জুন ২০২৫
- / ৭১
শাহিন আলম, টেকনাফ | বর্তমান কথা
টানা ভারী বৃষ্টিপাতে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় দেড় হাজারেরও বেশি পরিবার। তলিয়ে গেছে শত শত ঘরবাড়ি, ফসলি জমি ও চিংড়িঘের। পাহাড় ধসের আশঙ্কায় পাহাড়ি এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে মাইকিং করছে স্থানীয় প্রশাসন।
রবিবার রাত ১১টা থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত চলমান বর্ষণে উখিয়ার ক্যাম্প-২ ইস্টে মাটির দেয়াল ধসে এক রোহিঙ্গা যুবক মোহাম্মদ আয়াস (২২) নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও দুজন। এ ছাড়া বজ্রপাতে আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন রোহিঙ্গা।
উপজেলার হ্নীলা, সাবরাং ও বাহারছড়া ইউনিয়নে ৫ হাজারেরও বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। টেকনাফ পৌরসভার ১২টি ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে বসবাসকারী প্রায় ২০ হাজার মানুষের মধ্যে পাহাড় ধসের আতঙ্ক বিরাজ করছে।
উখিয়ার হলিদিয়া পালং, রুমখাঁ, বড়ুয়া পাড়া, বালুখালীসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে অন্তত ৫০০ পরিবার পানিতে বন্দি। বিদ্যুৎ ও মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় দুর্ভোগ আরও বেড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, ঘরে পানি ঢুকে ঘরের আসবাব, খাদ্যসামগ্রী সব ভেসে গেছে। অনেকে আশ্রয় কেন্দ্রে গেলেও অধিকাংশ মানুষ নিজ ঘরে আটকা পড়ে আছেন।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম চৌধুরী জানান, “বৃষ্টি কিছুটা কমলেও এখনো পানিবন্দি অবস্থায় আছেন অনেকে। পরিস্থিতি মনিটর করা হচ্ছে।”
টেকনাফ ইউএনও শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, “সেন্টমার্টিনে আজ পণ্যবাহী ট্রলারও যেতে পারেনি। আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দিতে তৎপর রয়েছি।”
হ্নীলা ইউপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী বলেন, “সীমান্ত সড়কের সুইচগেট দিয়ে পানি বের হতে না পারায় জলাবদ্ধতা আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।”
এই দুর্যোগে সরকার ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর জরুরি সহায়তা ও পুনর্বাসন কার্যক্রম এখন সময়ের দাবি।