১১:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

সিরাজদিখানে যুবদল নেতার ভাইয়ের বিরুদ্ধে মারধর করে নগদ অর্থ ও মোবাইল ছিনাইয়ের অভিযোগ!

ডেস্ক নিউজ

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে হানিফ মোল্লা (২৩) নামে এক যুবককে বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে মারধর করে নগদ অর্থ ও মোবাইল ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে মুন্সীগঞ্জ জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক প্রীন্স নাদিমের ছোট ভাই আনিস ভূইয়ার বিরুদ্ধে। গত ১৪ এপ্রিল রাত ৯ টার দিকে সিরাজদিখান উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের সুখের ঠিকানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মারধরের শিকার ভুক্তভোগী যুবক হানিফ মোল্লার পিতা নূর মোহাম্মদ মোল্লা বাদী হয়ে জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নাদিমের ছোট ভাই আনিস ভূইয়া, সুখের ঠিকানা এলাকার হৃদয়, নাফিজ, সোহাগদের বিবাদী করে সিরাজদিখান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধার করে দিলেও ছিনতাই হওয়া নগদ টাকা উদ্ধারে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। এমনটাই অভিযোগ ভুক্তভোগী বাদীর।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ১৪ এপ্রিল রাত অনুমান ৯টার দিকে সুখের ঠিকানা এলাকার বাসিন্দা আনিস ভূইয়া, হৃদয়,নাফিজ, সোহাগসহ আরো বেশ কয়েক জন উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের হাজীগাঁও গ্রামের বাসিন্দা নুর মোহাম্মদ মোল্লার ছেলে হানিফ মোল্লাকে তার বসত বাড়ী সুখের ঠিকানায় অবস্থিত বালুর মাঠে ডেকে নেয়। পরে ডেকে আনা যুবক হানিফ মোল্লাকে এলোপাথাড়ি ভাবে পিটিয়ে তার কাছ থেকে নগদ ৮ হাজার টাকাসহ তার ব্যবহৃত ৩০ হাজার টাকা মূল্যের একটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় আনিস ভূইয়াসহ তার সাথে থাকা হৃদয়, নাফিজ, সোহাগ। পরদিন মারধরের শিকার হানিফ মোল্লার পিতা নুর মোহাম্মদ মোল্লা বাদী হয়ে সিরাজদিখান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে সিরাজদিখান থানার এএসআই সানোয়ার ছিনতাই হওয়ার মোবাইল ফোন উদ্ধার করলেও নগদ টাকা উদ্ধার করতে পারেন নি।

অভিযোগের বাদী নুর মোহাম্মদ মোল্লা মুঠোফোনে বলেন, ঘটনা ১০০% সত্য। তারা আমার ছেলেকে বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে মারধর করে আমার ছেলে কাছ থেকে ৮ হাজার টাকা ও ৩০ হাজার টাকা দামের মোবাইল ফোন ছিনতাই করে নিয়ে যায়। পুলিশ মোবাইলটা উদ্ধার করে দিয়েছে৷ টাকা উদ্ধার করে দেয় নাই। তবে মোবাইলের মেমোরি রেখে মোবাইল ফ্লাস মেরে দিয়েছে। আমরা কারো সাথে মিমাংসায় যাই নাই। যদি কেউ বলে থাকে তাহলে মিথ্যা বলেছে।আমির এর সুষ্ঠ বিচার চাই।

অভিযুক্ত আনিস ভূইয়ার বড় ভাই প্রিন্স নাদিম তার ভাইয়ের অপরাধ লুকাতে মারধরের শিকার যুবক হানিফ মোল্লার বিরুদ্ধে রড চুরির মিথ্যা অভিযোগ তুলে বলেন,আমার ভাইসহ কয়েকজন মিলে তাকে ধরে চুরির রড উদ্ধার করে। আমার ভাই কোন ঘটনাই ঘটায় নাই।

এ ব্যপারে অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা সিরাজদিখান থানার এএসআই সানোয়ার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত হচ্ছে। ভিকটিমের জবানবন্দি নেয়া হয়েছে।

স্থানীয় গোপন একটি সূত্র জানায়, মুন্সীগঞ্জ জেলা যুব যুগ্ন আহবায়ক প্রীন্স নাদিমের ছোট ভাই সুখের ঠিকানা এলাকায় অপরাধের রাম রাজত্ব কায়েম করেছে। তার ছত্র ছায়ায় সুখের ঠিকানা এলাকায় এমন কোন অপকর্ম নেই যে তার ভাই আনিস করে না। প্রিন্স নাদিমের বিরুদ্ধেও অভিযোগের শেষ নেই।৫ আগষ্টের পর বাতায়ন নামে একটি হাউজিং কোম্পানির আওয়ামী লীগের লোকজন নিয়ে দখল করে। তার বিরুদ্ধে সে সময় সভ্যতার আলো পত্রিকায় সংবাদও প্রকাশ করা হয়। প্রিন্স নাদিম বিএনপির নেতা হিসেবে বিভিন্ন স্থানে নিজেকে পরিচয় দিলেও সিরাজদিখান উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক মঈনুল হাসান নাহিদের সহযোগী আলতাফসহ মাদক মামলার আসামীদের সাথে নিয়ে
আওয়ামী লীগের দোষরদের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়। এমনকি নিজেদের অপকর্মে পর্দা দিতে আওয়ামী লীগের মুন্সীগঞ্জ-১ আসনের সাবেক এমপির পা চাটা আস্থাভাজন দালাল সাংবাদিক লিংকনকে সাথে নিয়ে চলে। এছাড়া আওয়ামী লীগের একাধিক নেতাকর্মীকে গোপনে শেল্টার দেয় প্রিন্স নাদিম। একথা কজনই বা জানে।

Please Share This Post in Your Social Media

আপডেট: ০৫:৪৮:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
১৩৫

সিরাজদিখানে যুবদল নেতার ভাইয়ের বিরুদ্ধে মারধর করে নগদ অর্থ ও মোবাইল ছিনাইয়ের অভিযোগ!

আপডেট: ০৫:৪৮:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে হানিফ মোল্লা (২৩) নামে এক যুবককে বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে মারধর করে নগদ অর্থ ও মোবাইল ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে মুন্সীগঞ্জ জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক প্রীন্স নাদিমের ছোট ভাই আনিস ভূইয়ার বিরুদ্ধে। গত ১৪ এপ্রিল রাত ৯ টার দিকে সিরাজদিখান উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের সুখের ঠিকানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মারধরের শিকার ভুক্তভোগী যুবক হানিফ মোল্লার পিতা নূর মোহাম্মদ মোল্লা বাদী হয়ে জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নাদিমের ছোট ভাই আনিস ভূইয়া, সুখের ঠিকানা এলাকার হৃদয়, নাফিজ, সোহাগদের বিবাদী করে সিরাজদিখান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধার করে দিলেও ছিনতাই হওয়া নগদ টাকা উদ্ধারে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। এমনটাই অভিযোগ ভুক্তভোগী বাদীর।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ১৪ এপ্রিল রাত অনুমান ৯টার দিকে সুখের ঠিকানা এলাকার বাসিন্দা আনিস ভূইয়া, হৃদয়,নাফিজ, সোহাগসহ আরো বেশ কয়েক জন উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের হাজীগাঁও গ্রামের বাসিন্দা নুর মোহাম্মদ মোল্লার ছেলে হানিফ মোল্লাকে তার বসত বাড়ী সুখের ঠিকানায় অবস্থিত বালুর মাঠে ডেকে নেয়। পরে ডেকে আনা যুবক হানিফ মোল্লাকে এলোপাথাড়ি ভাবে পিটিয়ে তার কাছ থেকে নগদ ৮ হাজার টাকাসহ তার ব্যবহৃত ৩০ হাজার টাকা মূল্যের একটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় আনিস ভূইয়াসহ তার সাথে থাকা হৃদয়, নাফিজ, সোহাগ। পরদিন মারধরের শিকার হানিফ মোল্লার পিতা নুর মোহাম্মদ মোল্লা বাদী হয়ে সিরাজদিখান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে সিরাজদিখান থানার এএসআই সানোয়ার ছিনতাই হওয়ার মোবাইল ফোন উদ্ধার করলেও নগদ টাকা উদ্ধার করতে পারেন নি।

অভিযোগের বাদী নুর মোহাম্মদ মোল্লা মুঠোফোনে বলেন, ঘটনা ১০০% সত্য। তারা আমার ছেলেকে বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে মারধর করে আমার ছেলে কাছ থেকে ৮ হাজার টাকা ও ৩০ হাজার টাকা দামের মোবাইল ফোন ছিনতাই করে নিয়ে যায়। পুলিশ মোবাইলটা উদ্ধার করে দিয়েছে৷ টাকা উদ্ধার করে দেয় নাই। তবে মোবাইলের মেমোরি রেখে মোবাইল ফ্লাস মেরে দিয়েছে। আমরা কারো সাথে মিমাংসায় যাই নাই। যদি কেউ বলে থাকে তাহলে মিথ্যা বলেছে।আমির এর সুষ্ঠ বিচার চাই।

অভিযুক্ত আনিস ভূইয়ার বড় ভাই প্রিন্স নাদিম তার ভাইয়ের অপরাধ লুকাতে মারধরের শিকার যুবক হানিফ মোল্লার বিরুদ্ধে রড চুরির মিথ্যা অভিযোগ তুলে বলেন,আমার ভাইসহ কয়েকজন মিলে তাকে ধরে চুরির রড উদ্ধার করে। আমার ভাই কোন ঘটনাই ঘটায় নাই।

এ ব্যপারে অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা সিরাজদিখান থানার এএসআই সানোয়ার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত হচ্ছে। ভিকটিমের জবানবন্দি নেয়া হয়েছে।

স্থানীয় গোপন একটি সূত্র জানায়, মুন্সীগঞ্জ জেলা যুব যুগ্ন আহবায়ক প্রীন্স নাদিমের ছোট ভাই সুখের ঠিকানা এলাকায় অপরাধের রাম রাজত্ব কায়েম করেছে। তার ছত্র ছায়ায় সুখের ঠিকানা এলাকায় এমন কোন অপকর্ম নেই যে তার ভাই আনিস করে না। প্রিন্স নাদিমের বিরুদ্ধেও অভিযোগের শেষ নেই।৫ আগষ্টের পর বাতায়ন নামে একটি হাউজিং কোম্পানির আওয়ামী লীগের লোকজন নিয়ে দখল করে। তার বিরুদ্ধে সে সময় সভ্যতার আলো পত্রিকায় সংবাদও প্রকাশ করা হয়। প্রিন্স নাদিম বিএনপির নেতা হিসেবে বিভিন্ন স্থানে নিজেকে পরিচয় দিলেও সিরাজদিখান উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক মঈনুল হাসান নাহিদের সহযোগী আলতাফসহ মাদক মামলার আসামীদের সাথে নিয়ে
আওয়ামী লীগের দোষরদের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়। এমনকি নিজেদের অপকর্মে পর্দা দিতে আওয়ামী লীগের মুন্সীগঞ্জ-১ আসনের সাবেক এমপির পা চাটা আস্থাভাজন দালাল সাংবাদিক লিংকনকে সাথে নিয়ে চলে। এছাড়া আওয়ামী লীগের একাধিক নেতাকর্মীকে গোপনে শেল্টার দেয় প্রিন্স নাদিম। একথা কজনই বা জানে।