খানা-খন্দে জর্জরিত সড়ক, তবুও দুই কোটি টাকায় ফুটপাত নির্মাণে প্রশ্ন,,,
- আপডেট: ১২:২৫:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
- / ১০৮
অপরিকল্পিত ওয়াকওয়ে নির্মাণে বিতর্কে কলাপাড়া পৌরসভা
খানা-খন্দে জর্জরিত সড়ক, তবুও দুই কোটি টাকায় ফুটপাত নির্মাণে প্রশ্ন
কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।।
কলাপাড়ায় জনগুরুত্বপূর্ণ একাধিক সড়ক ভাঙাচোরা ও খানা-খন্দে চলাচলে চরম দুর্ভোগের মধ্যেও প্রধান সড়কের দু’পাশে অপরিকল্পিতভাবে ওয়াকওয়ে (ফুটপাত) নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে পৌরসভা। দুই কোটি ৬ লাখ টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলেও পরিকল্পনা ও প্রয়োজনীয়তা নিয়ে নাগরিক মহলে উঠেছে প্রশ্ন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে চায়ের টেবিল, সভা-সেমিনার—সবখানেই চলছে এই নির্মাণ নিয়ে তুমুল বিতর্ক। অভিযোগ উঠেছে, ১২টি বৈদ্যুতিক খুঁটি ও ১৩টি বড় গাছ রেখেই ফুটপাত নির্মাণ করা হচ্ছে, যা শেষ হলে নাগরিকদের চলাচল প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়বে।
ফেসবুকে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আরকিটেকচারাল ইঞ্জিনিয়ার ইয়াকুব খান লিখেছেন—
> “চলমান ফুটপাতের ভেতরে থাকা বিশাল গাছ ও খুঁটি রেখে কাজ শেষ হলে মানুষ আদৌ চলাচল করতে পারবে কি? গাছের শিকড় দেয়াল দুর্বল করে ফাটিয়ে দেবে। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় যেনতেন উন্নয়ন নয়, পরিকল্পিত ও জবাবদিহিতাপূর্ণ কাজ চাই।”
পৌরসভা সূত্র জানায়, “গুরুত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প” এর আওতায় ফেরীঘাট থেকে বড় জামে মসজিদ পর্যন্ত ৭৫০ মিটার দীর্ঘ ও ৪ মিটার প্রস্থ ওয়াকওয়ে নির্মাণে দরপত্র আহ্বান করা হয়। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নাজমুস সাদাত ট্রেডার্স শতকরা ১০ ভাগ কমে ১ কোটি ৮৬ লাখ টাকায় কাজটি পায়। কাজ শুরু হয়েছে চলতি বছরের ৯ জুন এবং শেষ হওয়ার কথা ১ ডিসেম্বর।
তবে প্রকল্প এলাকার ভেতরেই রয়েছে ১২টি বিদ্যুতের খুঁটি ও ১৩টি বড় গাছ। গাছ কাটায় বন বিভাগের জটিলতা ও বিদ্যুৎ খুঁটি অপসারণে পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগের আর্থিক দাবি (১২ লাখ টাকা) নিয়ে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে।
পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মশিউর রহমান বলেন,
> “পল্লী বিদ্যুৎ নতুন খুঁটি ও কেবল প্রতিস্থাপনের জন্য টাকা চেয়েছে। গাছ কাটায় পরিবেশবাদী সংগঠন ও উপজেলা বন কমিটির আপত্তি থাকায় সেগুলো রেখেই কাজ এগোচ্ছে। নাগরিকদের সঙ্গে সভা করে তাদের সম্মতিতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
তবে শহরবাসীর অভিযোগ—জনগণের মৌলিক চাহিদা, যেমন পানি সরবরাহ ও সড়ক সংস্কার উপেক্ষা করে এই অপরিকল্পিত উন্নয়ন কেবল ‘দেখনদারি’।










