০৩:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫

ফ্যাসিবাদী ষড়যন্ত্রে মিথ্যা মামলা ও হয়রানির শিকার দৌলতপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ব্যাপারী,,,,দৈনিক বর্তমান কথা

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট: ০৩:৫৫:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫
  • / ১০৯

 

কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও তুরাগ থানা যুবদলের জয়েন্ট সেক্রেটারি আব্দুস সালাম ব্যাপারী সম্প্রতি একাধিক মিথ্যা মামলা ও রাজনৈতিক হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
গত ৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখে ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ সভাপতি মঈনুদ্দিন চেয়ারম্যান আত্মগোপনে চলে যান। পরবর্তীতে সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরাফাত রহমান ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় কুমিল্লা জেলা স্থানীয় সরকার উপপরিচালক গোলাম কিবরিয়া দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের ১নং প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ব্যাপারীকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব প্রদান করেন।
দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই তিনি ফ্যাসিবাদী চক্রের ষড়যন্ত্রে পড়ে একের পর এক মিথ্যা মামলার সম্মুখীন হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, কিছু প্রভাবশালী রাজনৈতিক গোষ্ঠী ও চাঁদাবাজ চক্র চেয়ারম্যানের মোটরসাইকেল আটকানো, ইউনিয়ন পরিষদে প্রবেশে বাধা দেওয়া, এমনকি চাঁদা দাবি পর্যন্ত করছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সচেতন মহল বিষয়টি শান্তিপূর্ণভাবে মীমাংসার চেষ্টা করলেও তা ব্যর্থ হয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ব্যাপারী বলেন—“আমি আমার ব্যবসার কাজে ঢাকায় ছিলাম। ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদবিরোধী মিছিলে অংশ নিই। পরে জানতে পারি, গৌরিপুর বাজারে সুলতান হত্যা মামলায় আমাকে আসামি করা হয়েছে। কিন্তু মামলার বাদী রেহেনা বেগম বলেছেন, তিনি আমাকে চেনেন না এবং এজাহারে আমার নাম দেননি।”
তিনি আরও জানান—“চাঁদা না দিলে আমাকে ১২-১৩টি মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিয়েছে একটি চক্র। আমি ইউনিয়নের সেবার মান বাড়াতে কাজ করছি, অথচ এখন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছি।”
দৌলতপুর ইউনিয়নের স্থানীয় জনগণ জানিয়েছেন—“চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ব্যাপারী একজন সৎ, পরিশ্রমী ও সহজ-সরল মানুষ। তিনি দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই ইউনিয়নের সেবায় আন্তরিকভাবে কাজ করছেন। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা সম্পূর্ণ হয়রানিমূলক।”
দৌলতপুর ইউনিয়নের সাধারণ জনগণ ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ কুমিল্লা জেলা প্রশাসক ও উচ্চ প্রশাসনের নিকট দাবি জানিয়েছেন—চেয়ারম্যান সালাম ব্যাপারীর বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। হয়রানিকারী মহলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদে নির্বিঘ্ন প্রশাসনিক কার্যক্রম নিশ্চিত করতে হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

বিজ্ঞাপন: ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট এর জন্য যোগাযোগ করুন: ০১৮২৪৯০৯০১০
বিজ্ঞাপন: ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট এর জন্য যোগাযোগ করুন: ০১৮২৪৯০৯০১০

ফ্যাসিবাদী ষড়যন্ত্রে মিথ্যা মামলা ও হয়রানির শিকার দৌলতপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ব্যাপারী,,,,দৈনিক বর্তমান কথা

আপডেট: ০৩:৫৫:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫

 

কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও তুরাগ থানা যুবদলের জয়েন্ট সেক্রেটারি আব্দুস সালাম ব্যাপারী সম্প্রতি একাধিক মিথ্যা মামলা ও রাজনৈতিক হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
গত ৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখে ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ সভাপতি মঈনুদ্দিন চেয়ারম্যান আত্মগোপনে চলে যান। পরবর্তীতে সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরাফাত রহমান ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় কুমিল্লা জেলা স্থানীয় সরকার উপপরিচালক গোলাম কিবরিয়া দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের ১নং প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ব্যাপারীকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব প্রদান করেন।
দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই তিনি ফ্যাসিবাদী চক্রের ষড়যন্ত্রে পড়ে একের পর এক মিথ্যা মামলার সম্মুখীন হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, কিছু প্রভাবশালী রাজনৈতিক গোষ্ঠী ও চাঁদাবাজ চক্র চেয়ারম্যানের মোটরসাইকেল আটকানো, ইউনিয়ন পরিষদে প্রবেশে বাধা দেওয়া, এমনকি চাঁদা দাবি পর্যন্ত করছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সচেতন মহল বিষয়টি শান্তিপূর্ণভাবে মীমাংসার চেষ্টা করলেও তা ব্যর্থ হয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ব্যাপারী বলেন—“আমি আমার ব্যবসার কাজে ঢাকায় ছিলাম। ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদবিরোধী মিছিলে অংশ নিই। পরে জানতে পারি, গৌরিপুর বাজারে সুলতান হত্যা মামলায় আমাকে আসামি করা হয়েছে। কিন্তু মামলার বাদী রেহেনা বেগম বলেছেন, তিনি আমাকে চেনেন না এবং এজাহারে আমার নাম দেননি।”
তিনি আরও জানান—“চাঁদা না দিলে আমাকে ১২-১৩টি মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিয়েছে একটি চক্র। আমি ইউনিয়নের সেবার মান বাড়াতে কাজ করছি, অথচ এখন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছি।”
দৌলতপুর ইউনিয়নের স্থানীয় জনগণ জানিয়েছেন—“চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ব্যাপারী একজন সৎ, পরিশ্রমী ও সহজ-সরল মানুষ। তিনি দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই ইউনিয়নের সেবায় আন্তরিকভাবে কাজ করছেন। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা সম্পূর্ণ হয়রানিমূলক।”
দৌলতপুর ইউনিয়নের সাধারণ জনগণ ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ কুমিল্লা জেলা প্রশাসক ও উচ্চ প্রশাসনের নিকট দাবি জানিয়েছেন—চেয়ারম্যান সালাম ব্যাপারীর বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। হয়রানিকারী মহলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদে নির্বিঘ্ন প্রশাসনিক কার্যক্রম নিশ্চিত করতে হবে।