নারীকে দিয়ে ব্লাকমেইল করে পুনর্বাসন ঘর ও জমির টাকা আত্মসাতের অপচেষ্টার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন
- আপডেট: ০৪:২১:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫
- / ৭২
মনির হাওলাদার পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে নারীকে ব্যবহার করে ব্লাকমেইলের মাধ্যমে পুনর্বাসন ঘর ও জমির ক্ষতিপূরণের টাকা আত্মসাতের অপচেষ্টার অভিযোগ করেছেন লালুয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মজিবর রহমান প্যাদা।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) বেলা ১১টায় কলাপাড়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট ফোরাম মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মজিবর রহমান প্যাদা বলেন, গত ১৪ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে মোসা. মরিয়ম বেগম মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে তার রাজনৈতিক ও সামাজিক সুনাম ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা করেছেন।
তিনি বলেন, “মূলত, মরিয়মের সঙ্গে আমার কোনো বৈবাহিক সম্পর্ক ছিল না। এ বিষয়ে প্রমাণ দেওয়ার ক্ষমতাও তার নেই। বরং ২০২১ সালে মরিয়মের পিতা মোসলেম আলী দফাদারের কাছ থেকে ১২ শতাংশ জমি ৬ লাখ টাকায় আমি কিনি, যার উপর স্থাপনা ও গাছ রোপন করি।”
তিনি অভিযোগ করেন, সরকারের জমি অধিগ্রহণের পর ওই জমির ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রায় ৪৭ লাখ টাকা তিনি পান, কিন্তু জমির রেজিস্ট্রি সম্পন্ন না করায় তা সম্পূর্ণ তাঁর নামে হয়নি। পরবর্তীতে, ওই জমির বিনিময়ে সরকার ধূলাসার ইউনিয়নের পুনর্বাসন প্রকল্পের অধীনে দুটি ঘর বরাদ্দ দেয়, যার মূল্য প্রায় ৬০ লাখ টাকা। কিন্তু ঘর দুটি নিজের নামে না রেখে মোসলেম আলী তার সন্তান মরিয়ম ও রহমানের নামে অন্তর্ভুক্ত করেন।
মজিবর রহমান আরও বলেন, “আমি ঘরের টাকা চাইলে তারা তালবাহানা শুরু করে। বাধ্য হয়ে ২০২৫ সালের ১৬ এপ্রিল কলাপাড়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করি।”
তিনি দাবি করেন, মোসলেম আলী ও তার পরিবার একটি কুচক্রী মহলের সহায়তায় মরিয়ম বেগমকে দিয়ে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মামলা করিয়েছেন এবং মিথ্যা অভিযোগে জড়িয়েছেন। বর্তমানে ৯(খ) ধারায় মামলা করে মরিয়ম বেগম ও তার পরিবার মজিবরের নির্মিত ঘর ও জমি নিজেদের দাবি করছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মজিবরের আত্মীয় হাবলু মৃধা, হিরন মৃধা, জনি জামাল ও সোহেল হাওলাদার।
ঘটনার সত্যতা জানতে মোসলেম আলী দফাদারের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ সময় মজিবর রহমান প্যাদা পুনর্বাসন ঘরের ৬০ লাখ টাকা, জমির মূল্য বাবদ ৫ লাখ টাকা ও নির্মাণকৃত স্থাপনার ১০ লাখ টাকা ফেরত দেওয়ার দাবি জানান। একই সঙ্গে তিনি এই বিষয়ে ন্যায়বিচার ও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র থেকে মুক্তি চেয়েছেন।










