০১:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫

প্রবাসীর কষ্টার্জিত টাকার আত্মসাৎ, স্ত্রীর পরকীয়ার অভিযোগে প্রশাসনে অভিযোগপত্র

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট: ১১:৩৮:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫
  • / ৯৩

 

মনির হাওলাদার, জেলা প্রতিনিধি (পটুয়াখালী):
পটুয়াখালী সদর উপজেলার পশ্চিম আউলিয়াপুর এলাকার প্রবাসী সৈয়দ মোঃ জাজরিস ইসলাম (৫৭) তাঁর স্ত্রী মোছা. রুমা বেগম (৩৫)-এর বিরুদ্ধে প্রতারণা, পরকীয়া ও কোটি টাকার বেশি আত্মসাতের অভিযোগ এনে জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

ভুক্তভোগী জাজরিস ইসলাম জানান, ২০১১ সালে তাদের বিবাহ হয়। প্রথম দিকে সংসার স্বাভাবিক থাকলেও সময়ের সঙ্গে স্ত্রী রুমা বেগমের আচরণে পরিবর্তন আসে। তিনি জানান, স্ত্রী প্রায় সময় বাইরে যাতায়াত করতেন এবং নানা অজুহাতে স্বামীর সঙ্গে কলহে জড়াতেন।

২০১৭ সালে সৌদি আরবে চাকরির কারণে ফের প্রবাসে গেলে তিনি ইসলামী ব্যাংক পটুয়াখালী শাখার ২০৫০১৯২০২০২৮৫৬৩০৫ নম্বর অ্যাকাউন্টে বিভিন্ন সময় প্রায় ১১ লাখ টাকা পাঠান। এই টাকা জমি কেনা এবং স্ত্রীর অসুস্থতার (মিথ্যা টিউমার) অজুহাতে পাঠানো হয়। ২০২৩ সালে দেশে ফেরার পর স্ত্রী রুমা বেগম এফডিআরের নামে আরও ১০ লাখ টাকা দাবি করেন। তিনি আরও অভিযোগ করেন, স্ত্রী গোপনে বাসার মালামাল সরিয়ে নেন এবং বাড়ি তালাবদ্ধ করে চলে যান।

সৈয়দ মোঃ জাজরিস ইসলাম অভিযোগ করেন, তার অনুপস্থিতিতে বাসা থেকে প্রায় ৩.৫ লাখ টাকা, ৮ ভরি স্বর্ণালংকার, ইসলামী ব্যাংকের চেক বইসহ মোট প্রায় ১২ লাখ টাকার গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র নিয়ে স্ত্রী রুমা পালিয়ে যান। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে রুমা বেগম বিকাশ, নগদ ও ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে আরও কয়েক লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

পরবর্তীতে তিনি স্বামীর অজান্তে অন্য এক ব্যক্তির সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন এবং সংসার ত্যাগ করে পিত্রালয়ে চলে যান। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সালিশ বৈঠক হলেও কোনো সমাধান আসেনি। উল্টো রুমা বেগম ১৫/১০/২০২৩ তারিখে এম.পি ৪৫৬/২০২৩ নম্বরে জাজরিস ইসলামের বিরুদ্ধে পাল্টা নালিশ করেন।

ভুক্তভোগী প্রবাসী বলেন,

> “আমি তাকে ভালোবেসে সংসার করতাম। জীবনের সঞ্চয়, কষ্টার্জিত অর্থ ও স্বর্ণালংকার সব কিছু দিয়েছি। অথচ সে আমাকে প্রতারণা করেছে, এখন আর সংসার করতেও চায় না।”

 

তিনি জানান, তার অভিযোগের সঙ্গে তিনি ব্যাংক লেনদেনের রশিদ, চেক নম্বর, সাক্ষীদের বিবৃতি এবং পারিবারিক বিরোধের লিখিত প্রমাণ সংযুক্ত করেছেন। বিষয়টি বর্তমানে প্রশাসনের তদন্তাধীন রয়েছে।

সৈয়দ মোঃ জাজরিস ইসলাম সঠিক তদন্ত ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

 

Please Share This Post in Your Social Media

বিজ্ঞাপন: ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট এর জন্য যোগাযোগ করুন: ০১৮২৪৯০৯০১০
বিজ্ঞাপন: ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট এর জন্য যোগাযোগ করুন: ০১৮২৪৯০৯০১০

প্রবাসীর কষ্টার্জিত টাকার আত্মসাৎ, স্ত্রীর পরকীয়ার অভিযোগে প্রশাসনে অভিযোগপত্র

আপডেট: ১১:৩৮:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫

 

মনির হাওলাদার, জেলা প্রতিনিধি (পটুয়াখালী):
পটুয়াখালী সদর উপজেলার পশ্চিম আউলিয়াপুর এলাকার প্রবাসী সৈয়দ মোঃ জাজরিস ইসলাম (৫৭) তাঁর স্ত্রী মোছা. রুমা বেগম (৩৫)-এর বিরুদ্ধে প্রতারণা, পরকীয়া ও কোটি টাকার বেশি আত্মসাতের অভিযোগ এনে জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

ভুক্তভোগী জাজরিস ইসলাম জানান, ২০১১ সালে তাদের বিবাহ হয়। প্রথম দিকে সংসার স্বাভাবিক থাকলেও সময়ের সঙ্গে স্ত্রী রুমা বেগমের আচরণে পরিবর্তন আসে। তিনি জানান, স্ত্রী প্রায় সময় বাইরে যাতায়াত করতেন এবং নানা অজুহাতে স্বামীর সঙ্গে কলহে জড়াতেন।

২০১৭ সালে সৌদি আরবে চাকরির কারণে ফের প্রবাসে গেলে তিনি ইসলামী ব্যাংক পটুয়াখালী শাখার ২০৫০১৯২০২০২৮৫৬৩০৫ নম্বর অ্যাকাউন্টে বিভিন্ন সময় প্রায় ১১ লাখ টাকা পাঠান। এই টাকা জমি কেনা এবং স্ত্রীর অসুস্থতার (মিথ্যা টিউমার) অজুহাতে পাঠানো হয়। ২০২৩ সালে দেশে ফেরার পর স্ত্রী রুমা বেগম এফডিআরের নামে আরও ১০ লাখ টাকা দাবি করেন। তিনি আরও অভিযোগ করেন, স্ত্রী গোপনে বাসার মালামাল সরিয়ে নেন এবং বাড়ি তালাবদ্ধ করে চলে যান।

সৈয়দ মোঃ জাজরিস ইসলাম অভিযোগ করেন, তার অনুপস্থিতিতে বাসা থেকে প্রায় ৩.৫ লাখ টাকা, ৮ ভরি স্বর্ণালংকার, ইসলামী ব্যাংকের চেক বইসহ মোট প্রায় ১২ লাখ টাকার গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র নিয়ে স্ত্রী রুমা পালিয়ে যান। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে রুমা বেগম বিকাশ, নগদ ও ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে আরও কয়েক লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

পরবর্তীতে তিনি স্বামীর অজান্তে অন্য এক ব্যক্তির সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন এবং সংসার ত্যাগ করে পিত্রালয়ে চলে যান। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সালিশ বৈঠক হলেও কোনো সমাধান আসেনি। উল্টো রুমা বেগম ১৫/১০/২০২৩ তারিখে এম.পি ৪৫৬/২০২৩ নম্বরে জাজরিস ইসলামের বিরুদ্ধে পাল্টা নালিশ করেন।

ভুক্তভোগী প্রবাসী বলেন,

> “আমি তাকে ভালোবেসে সংসার করতাম। জীবনের সঞ্চয়, কষ্টার্জিত অর্থ ও স্বর্ণালংকার সব কিছু দিয়েছি। অথচ সে আমাকে প্রতারণা করেছে, এখন আর সংসার করতেও চায় না।”

 

তিনি জানান, তার অভিযোগের সঙ্গে তিনি ব্যাংক লেনদেনের রশিদ, চেক নম্বর, সাক্ষীদের বিবৃতি এবং পারিবারিক বিরোধের লিখিত প্রমাণ সংযুক্ত করেছেন। বিষয়টি বর্তমানে প্রশাসনের তদন্তাধীন রয়েছে।

সৈয়দ মোঃ জাজরিস ইসলাম সঠিক তদন্ত ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।