৩৫ বছর পর রাকসু নির্বাচন আজ : উৎসবমুখর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস
- আপডেট: ০৮:৫২:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫
- / ৪৯
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি |
দীর্ঘ ৩৫ বছর পর আজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ১৭টি কেন্দ্রের ৯০৯টি বুথে একটানা ভোটগ্রহণ চলবে। এটি রাকসুর ১৫তম নির্বাচন।
১৯৫৫ সালে প্রতিষ্ঠার পর প্রথম রাকসু নির্বাচন হয় ১৯৬২ সালে। সর্বশেষ (১৪তম) রাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৯০ সালের ২৯ জুলাই।
দীর্ঘদিন পর ভোট হওয়ায় শিক্ষার্থী, প্রার্থী ও পুরো বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারে বইছে উৎসবের আমেজ। মোট ২৩টি পদের বিপরীতে ২৪৭ জন প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন। রাকসু, হল সংসদ ও সিনেট মিলিয়ে এবার ৮৬০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২৮৩টি পদের জন্য।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. এফ নজরুল ইসলাম জানান, এবারই ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন। মোট ভোটার ২৮ হাজার ৯০১ জন—এর মধ্যে পুরুষ ১৭ হাজার ৫৯৫ এবং নারী ১১ হাজার ৩০৬ জন।
ভোটগ্রহণ শেষে ১৭ ঘণ্টার মধ্যে ওএমআর মেশিনে গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হবে। ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা ও ত্রিমাত্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকছে।
প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেল ও প্রার্থীরা
রাকসুতে মোট আটটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। আলোচিত দুটি প্রধান প্যানেল হলো ছাত্রদল সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম এবং ছাত্রশিবির সমর্থিত সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট।
ভিপি পদে ১৮ জন এবং জিএস পদে ১৩ জন প্রার্থী রয়েছেন। উল্লেখযোগ্য ভিপি প্রার্থীদের মধ্যে আছেন শেখ নূর উদ্দীন আবীর, মোস্তাকুর রহমান জাহিদ, মেহেদী মারুফ ও তাসিন খান। জিএস প্রার্থীদের মধ্যে নাফিউল ইসলাম জীবন, ফজলে রাব্বি ফাহিম রেজা, সালাহউদ্দিন আম্মার ও আফরিন জাহান আছেন আলোচনায়।
কঠোর নিরাপত্তা বলয়
ভোটের দিন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতটি গেটে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মোতায়েন রয়েছে ২,৩০০ পুলিশ সদস্য, ছয় প্লাটুন বিজিবি ও ১২ প্লাটুন র্যাব।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশে বৃহস্পতিবার ক্যাম্পাসে সব ধরনের মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ রাখা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকার ছাড়া কোনো যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে না।
নির্বাচনে কারচুপি ঠেকাতে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও ভোটার যাচাই প্রক্রিয়া চালু করা হয়েছে। প্রতিটি ভোটারকে ৪৩টি পদে ভোট দিতে হবে, এবং একজন ভোটার সর্বোচ্চ ১০ মিনিটের বেশি বুথে থাকতে পারবেন না।
ভোটের ফল গণনায় গঠন করা হয়েছে ৪৩ সদস্যবিশিষ্ট বিশেষজ্ঞ কমিটি। ফলাফল ঘোষণা করা হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে।

























