০৭:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫

হামাস কে ৪ শর্ত দিল ইসরায়েল

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট: ০৪:১৯:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ১৭৭

গাজায় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্ব শুরু হতে বেশি দেরি নেই। তবে সেই পর্বে প্রবেশের আগেই ৪টি শর্ত রেখেছে ইসরায়েল।

এই চার শর্ত পূরণ না হলে ২য় পর্ব শুরুর ব্যাপারটি পুরোপুরি অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়বে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দখলদার ইসরায়েলের জ্বালানিমন্ত্রী এলি কোহেন।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ইসরায়েলি টিভি চ্যানেল কেএএন-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ হুঁশিয়ারি দেন কোহেন।

যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্যও এলি কোহেন। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্যায়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের ৪টি শর্ত রয়েছে— ১) ৭ অক্টোবর এবং তার আগে যেসব ইসরায়েলিকে গাজায় বন্দি করা হয়েছিল তাদের সবাইকে মুক্তি দিতে হবে। ২) গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসকে গাজা থেকে বিদায় নিতে হবে। ৩) গাজা উপত্যকাকে অবশ্যই সম্পূর্ণ অস্ত্রমুক্ত করতে হবে এবং ৪) পুরো গাজা এলাকায় ইসরায়েলের নিরাপত্তা সংক্রান্ত নিয়ন্ত্রণ থাকবে।

গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ছয় সপ্তাহের পর্যায় গত ১৯ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়, যার ফলে হামাস-ইসরায়েলের ভয়াবহ যুদ্ধ থামে।

গত ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামলা চালিয়ে ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা করে হামাস ও তার মিত্রগোষ্ঠী প্যালেস্টাইনিয়ান ইসলামিক জিহাদের যোদ্ধারা। সেই সঙ্গে ২৫১ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরেও নিয়ে যায় তারা। বস্তুত ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর এর আগে কখনও ইসরায়েলে এত বড় আকারের হামলা ঘটেনি।

অতর্কিত সেই হামলার জবাব দিতে এবং জিম্মিদের উদ্ধার করতে গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। প্রায় ১৫ মাস ধরে অভিযান চলার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রবল চাপের মুখে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করতে বাধ্য হয় ইসরায়েল।

চুক্তির দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে শুরু হওয়ার কথা ছিল কিন্তু ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আলোচনা শুরু করার ব্যাপারে গড়িমসি করে আসছেন। চুক্তির দ্বিতীয় ধাপে গাজা থেকে ইসরায়েলিদের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার, যুদ্ধের সমাপ্তি এবং বন্দি বিনিময় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। অর্থাৎ স্থায়ীভাবে সংঘাত শেষ হবে।

চুক্তির শর্ত অনুসারে, এ পর্যায়ে অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্তি দেবে হামাস এবং বিনিময়ে বিভিন্ন কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ১ হাজার জনকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল এবং উপত্যকা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। আর তৃতীয় পর্যায়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকাকে পুনর্গঠনের কাজ শুরু হবে।

গাজায় সংঘাত থামাতে ২০২৪ সালের ২৩ জুন একটি তিন স্তরের যুদ্ধবিরতি চুক্তি প্রস্তাব করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গত ১৯ জানুয়ারি থেকে মূলত সেই চুক্তিটিরই বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

বিজ্ঞাপন: ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট এর জন্য যোগাযোগ করুন: ০১৮২৪৯০৯০১০
বিজ্ঞাপন: ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট এর জন্য যোগাযোগ করুন: ০১৮২৪৯০৯০১০

হামাস কে ৪ শর্ত দিল ইসরায়েল

আপডেট: ০৪:১৯:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

গাজায় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্ব শুরু হতে বেশি দেরি নেই। তবে সেই পর্বে প্রবেশের আগেই ৪টি শর্ত রেখেছে ইসরায়েল।

এই চার শর্ত পূরণ না হলে ২য় পর্ব শুরুর ব্যাপারটি পুরোপুরি অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়বে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দখলদার ইসরায়েলের জ্বালানিমন্ত্রী এলি কোহেন।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ইসরায়েলি টিভি চ্যানেল কেএএন-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ হুঁশিয়ারি দেন কোহেন।

যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্যও এলি কোহেন। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্যায়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের ৪টি শর্ত রয়েছে— ১) ৭ অক্টোবর এবং তার আগে যেসব ইসরায়েলিকে গাজায় বন্দি করা হয়েছিল তাদের সবাইকে মুক্তি দিতে হবে। ২) গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসকে গাজা থেকে বিদায় নিতে হবে। ৩) গাজা উপত্যকাকে অবশ্যই সম্পূর্ণ অস্ত্রমুক্ত করতে হবে এবং ৪) পুরো গাজা এলাকায় ইসরায়েলের নিরাপত্তা সংক্রান্ত নিয়ন্ত্রণ থাকবে।

গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ছয় সপ্তাহের পর্যায় গত ১৯ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়, যার ফলে হামাস-ইসরায়েলের ভয়াবহ যুদ্ধ থামে।

গত ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামলা চালিয়ে ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা করে হামাস ও তার মিত্রগোষ্ঠী প্যালেস্টাইনিয়ান ইসলামিক জিহাদের যোদ্ধারা। সেই সঙ্গে ২৫১ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরেও নিয়ে যায় তারা। বস্তুত ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর এর আগে কখনও ইসরায়েলে এত বড় আকারের হামলা ঘটেনি।

অতর্কিত সেই হামলার জবাব দিতে এবং জিম্মিদের উদ্ধার করতে গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। প্রায় ১৫ মাস ধরে অভিযান চলার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রবল চাপের মুখে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করতে বাধ্য হয় ইসরায়েল।

চুক্তির দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে শুরু হওয়ার কথা ছিল কিন্তু ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আলোচনা শুরু করার ব্যাপারে গড়িমসি করে আসছেন। চুক্তির দ্বিতীয় ধাপে গাজা থেকে ইসরায়েলিদের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার, যুদ্ধের সমাপ্তি এবং বন্দি বিনিময় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। অর্থাৎ স্থায়ীভাবে সংঘাত শেষ হবে।

চুক্তির শর্ত অনুসারে, এ পর্যায়ে অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্তি দেবে হামাস এবং বিনিময়ে বিভিন্ন কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ১ হাজার জনকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল এবং উপত্যকা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। আর তৃতীয় পর্যায়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকাকে পুনর্গঠনের কাজ শুরু হবে।

গাজায় সংঘাত থামাতে ২০২৪ সালের ২৩ জুন একটি তিন স্তরের যুদ্ধবিরতি চুক্তি প্রস্তাব করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গত ১৯ জানুয়ারি থেকে মূলত সেই চুক্তিটিরই বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে।