স্কেটিংয়ে জোড়া স্বর্ণপদক জিতলেন বগুড়ার সন্তান নাবীয়্যূন
- আপডেট: ০৬:২১:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
- / ১৩৫
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট : মুজাহিদ খাঁন কাওছার
চীনের জিনজিয়াং রাজ্যের কারামাই শহরে অনুষ্ঠিত ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড চায়না–আসিয়ান স্পিড রোলার স্কেটিং সিটি ইনভাইটেশনাল টুর্নামেন্ট’-এ বাংলাদেশের স্কেটাররা দুটি স্বর্ণপদকসহ মোট চারটি পদক জয় করেছেন। এর মধ্যে বগুড়ার সন্তান নাবীয়্যূন ইসলাম পৃথিবী একাই জোড়া স্বর্ণপদক জিতে বাংলাদেশের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় যুক্ত করেছেন।
ওয়ার্ল্ড এশিয়া স্কেটিং ও চায়না রোলার স্কেটিং ফেডারেশনের তত্ত্বাবধানে আয়োজিত এ প্রতিযোগিতায় নাবীয়্যূনের পারফরম্যান্স ছিল অবিশ্বাস্য। ১১ ও ১২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত এই টুর্নামেন্টে জুনিয়র-এ গ্রুপ থেকে অংশ নিয়ে তিনি প্রথম দিনে ৫০০ মিটার স্পিড রেসে, আর দ্বিতীয় দিনে ১০০০ মিটার স্প্রিন্ট রেসে প্রথম স্থান অর্জন করেন। চায়না সফরের ক্ষেত্রে প্রধান কোচ ছিলেন আশরাফুল আলম মাসুম, সহকারি কোচ আসিফ ইকবাল, এবং টিম লিডার ছিলেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান।
বাংলাদেশ রোলার স্কেটিং ফেডারেশনের ৩০ বছরের ইতিহাসে কোনো বাঙালি ছেলে হিসেবে এশিয়ার ১৭টি দেশের মধ্যে প্রতিযোগিতা করে একইসঙ্গে দুটি স্বর্ণপদক জয়ের ঘটনা এটিই প্রথম। এ অর্জনকেই এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের রোলার স্কেটিংয়ের সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক সাফল্য হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ রোলার স্কেটিং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন,
“নাবীয়্যূন ইসলাম পৃথিবী চীনে বেল্ট অ্যান্ড রোড এশিয়ান রোলার স্কেটিং প্রতিযোগিতায় অবিশ্বাস্য দক্ষতায় পারফর্ম করেছে। এই জয় শুধু বাংলাদেশের নয়, এটি এশিয়ার রোলার স্কেটিং ইতিহাসেও এক মাইলফলক।”
নাবীয়্যূনের পাশাপাশি বাংলাদেশ দলের অন্য সদস্য আতাহার শিহাব অদিত আরও দুটি পদক জিতেছেন বলে জানা গেছে।
ঢাকার বাইরের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া নাবীয়্যূন প্রায় আট বছর ধরে স্কেটিংয়ের সঙ্গে যুক্ত। তিনি বগুড়া রোলার স্কেটিং ক্লাবের হয়ে অনুশীলন করেন। ক্লাবটির প্রতিষ্ঠাতা ও কোচ আশরাফুল ইসলাম রহিত—যিনি নাবীয়্যূনের পিতা।
আন্তর্জাতিক মঞ্চে নামার আগে পৃথিবী দুটি জাতীয় ইভেন্টে রৌপ্যপদক এবং চলতি বছর রোপ স্কিপিংয়ে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন।
বাবা ও কোচ আশরাফুল ইসলাম রহিত ছেলের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত হয়ে বলেন,
“এশিয়ার ১৭টি দেশের মধ্যে প্রতিযোগিতা করে ৩০ বছরের ইতিহাসে বাঙালি ছেলে হিসেবে দুটি গোল্ড মেডেল পাওয়া বিশাল অর্জন। দোয়া করি, সে যেন আরও এগিয়ে যায়।”
উল্লেখ্য, গত ৮ অক্টোবর ১০ সদস্যের বাংলাদেশ দল চীনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।



























