১১:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫

সরকারি বরাদ্দে ইউপি সদস্যের ব্যক্তিগত মার্কেটের ড্রেন নির্মাণ: জনতার প্রতিবাদ

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট: ১২:০৫:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৩০

মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের জনবহুল একটি ওয়ার্ড জাঙ্গিরাই গ্রাম। এ এলাকায় এখনো লাগেনি কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নের ছোঁয়া। ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পাতানো রাতের ভোটের নির্বাচনে জাঙ্গিরাই ওয়ার্ড থেকে জনপ্রতিনিধি হওয়া ইউপি সদস্য আব্দুল জব্বার জনগুরুত্বপূর্ণ কাজ না করে নিজের বাড়ীর সামনের ব্যক্তিগত মার্কেটের ড্রেন নির্মাণের নামে সরকারি বরাদ্দ লুটপাট করার অভিযোগ উঠেছে। এরকম আরো অনেক সরকারি প্রকল্প বরাদ্দ এনে নিজের ব্যক্তিগত পকেট ভারী করায় পরেছেন সাধারণ ভোটারদের রোষানলে।

সাধারণ জনগণের সাথে প্রতারণা করে সরকারি বরাদ্দ আত্ম আত্মসাৎ করার কারণে জনগণের তোপের মুখে পড়ার পাশাপাশি পরবর্তী নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয় বরণ করতে হয় তাকে। এছাড়া এলাকায় বিচারের নামে ভুক্তভোগী অসহায় গরিব মানুষের লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ আছে আব্দুল জব্বারের বিরুদ্ধে। অসহায় গরিব মানুষের বিচার পরবর্তী আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় রাস্তাঘাটে বারবার হয়েছেন লাঞ্ছিত। ইউপি সদস্য থাকাকালীন সময় পরিবারের লোকজনের নামে সরকারি ত্রাণ সামগ্রীসহ সরকারি ভাতা আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এছাড়াও তার মেয়াদকালে সকল সরকারি বরাদ্দে ২০ থেকে ৩০% কমিশন আদায় করতেন তিনি। কমিশন না দিলে অনেক সরকারি কাজ বন্ধ করে দিতেন এবং কমিশনের টাকা না পেয়ে সরকারি কাজে ব্যবহৃত ইট, বালি, পাথর, সিমেন্ট সহ নির্মাণ সামগ্রী জোর করে বাড়িতে নিয়ে যেতেন। এ নিয়ে অনেক ঠিকাদার প্রতিকার চেয়েও পাননি কোন সুরাহা। আব্দুল জব্বারের অবৈধ ক্ষমতার কাছে বিভিন্ন সরকারি কাজের ঠিকাদারসহ সাধারণ জনগণ ছিল একেবারে অসহায়। অনেক অসহায় মানুষের জায়গাজমি বসতবাড়ি দখলেরও অভিযোগ রয়েছে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সিন্ডিকেট সদস্য আব্দুল জব্বারের বিরুদ্ধে।

ইউপি সদস্য ও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সিন্ডিকেট সদস্য
আব্দুল জব্বার সরকারি বরাদ্দে উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের নাইট চৌমুহনী এলাকায় নিজের বাড়ির সামনের নিজ মালিকানাধীন মার্কেটে ড্রেন নির্মাণের নামে সরকারি বরাদ্দ আত্মসাৎ করেছেন। প্রথমে বাড়ির সামনের মার্কেটের ড্রেন নিজের প্রয়োজনে করলেও পরবর্তীতে সুযোগ বুঝে সরকারি প্রকল্পে টাকা তুলে আত্মসাৎ করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে প্রতিবাদ গড়ে তোলেন স্থানীয়রা। যারাই ইউপি সদস্য আব্দুল জব্বারের অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বলতেন তাদের বিরুদ্ধে নেমে আসত নির্যাতনের স্টিম রুলার।

একাধিক ভুক্তভোগী অভিযোগ করে বলেন, আব্দুল জব্বার ইউপি সদস্য থাকাকালীন সময়ে আওয়ামীলীগ সরকারের সিন্ডিকেটের সদস্য হয়ে এলাকায় রামরাজত্ব করেছেন। এমন কোন অনিয়ম ও জুলুম নেই যা তিনি করেননি। বর্তমানেও তিনি বিভিন্ন ভাবে মানুষদের হয়রানি করে আসছেন। জুলুমবাজ আব্দুল জব্বারের কাছ থেকে সাধারণ মানুষ মুক্তি চায়।

এবিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল জব্বার প্রতিবেদককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।

Please Share This Post in Your Social Media

বিজ্ঞাপন: ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট এর জন্য যোগাযোগ করুন: ০১৮২৪৯০৯০১০
বিজ্ঞাপন: ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট এর জন্য যোগাযোগ করুন: ০১৮২৪৯০৯০১০

সরকারি বরাদ্দে ইউপি সদস্যের ব্যক্তিগত মার্কেটের ড্রেন নির্মাণ: জনতার প্রতিবাদ

আপডেট: ১২:০৫:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের জনবহুল একটি ওয়ার্ড জাঙ্গিরাই গ্রাম। এ এলাকায় এখনো লাগেনি কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নের ছোঁয়া। ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পাতানো রাতের ভোটের নির্বাচনে জাঙ্গিরাই ওয়ার্ড থেকে জনপ্রতিনিধি হওয়া ইউপি সদস্য আব্দুল জব্বার জনগুরুত্বপূর্ণ কাজ না করে নিজের বাড়ীর সামনের ব্যক্তিগত মার্কেটের ড্রেন নির্মাণের নামে সরকারি বরাদ্দ লুটপাট করার অভিযোগ উঠেছে। এরকম আরো অনেক সরকারি প্রকল্প বরাদ্দ এনে নিজের ব্যক্তিগত পকেট ভারী করায় পরেছেন সাধারণ ভোটারদের রোষানলে।

সাধারণ জনগণের সাথে প্রতারণা করে সরকারি বরাদ্দ আত্ম আত্মসাৎ করার কারণে জনগণের তোপের মুখে পড়ার পাশাপাশি পরবর্তী নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয় বরণ করতে হয় তাকে। এছাড়া এলাকায় বিচারের নামে ভুক্তভোগী অসহায় গরিব মানুষের লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ আছে আব্দুল জব্বারের বিরুদ্ধে। অসহায় গরিব মানুষের বিচার পরবর্তী আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় রাস্তাঘাটে বারবার হয়েছেন লাঞ্ছিত। ইউপি সদস্য থাকাকালীন সময় পরিবারের লোকজনের নামে সরকারি ত্রাণ সামগ্রীসহ সরকারি ভাতা আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এছাড়াও তার মেয়াদকালে সকল সরকারি বরাদ্দে ২০ থেকে ৩০% কমিশন আদায় করতেন তিনি। কমিশন না দিলে অনেক সরকারি কাজ বন্ধ করে দিতেন এবং কমিশনের টাকা না পেয়ে সরকারি কাজে ব্যবহৃত ইট, বালি, পাথর, সিমেন্ট সহ নির্মাণ সামগ্রী জোর করে বাড়িতে নিয়ে যেতেন। এ নিয়ে অনেক ঠিকাদার প্রতিকার চেয়েও পাননি কোন সুরাহা। আব্দুল জব্বারের অবৈধ ক্ষমতার কাছে বিভিন্ন সরকারি কাজের ঠিকাদারসহ সাধারণ জনগণ ছিল একেবারে অসহায়। অনেক অসহায় মানুষের জায়গাজমি বসতবাড়ি দখলেরও অভিযোগ রয়েছে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সিন্ডিকেট সদস্য আব্দুল জব্বারের বিরুদ্ধে।

ইউপি সদস্য ও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সিন্ডিকেট সদস্য
আব্দুল জব্বার সরকারি বরাদ্দে উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের নাইট চৌমুহনী এলাকায় নিজের বাড়ির সামনের নিজ মালিকানাধীন মার্কেটে ড্রেন নির্মাণের নামে সরকারি বরাদ্দ আত্মসাৎ করেছেন। প্রথমে বাড়ির সামনের মার্কেটের ড্রেন নিজের প্রয়োজনে করলেও পরবর্তীতে সুযোগ বুঝে সরকারি প্রকল্পে টাকা তুলে আত্মসাৎ করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে প্রতিবাদ গড়ে তোলেন স্থানীয়রা। যারাই ইউপি সদস্য আব্দুল জব্বারের অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বলতেন তাদের বিরুদ্ধে নেমে আসত নির্যাতনের স্টিম রুলার।

একাধিক ভুক্তভোগী অভিযোগ করে বলেন, আব্দুল জব্বার ইউপি সদস্য থাকাকালীন সময়ে আওয়ামীলীগ সরকারের সিন্ডিকেটের সদস্য হয়ে এলাকায় রামরাজত্ব করেছেন। এমন কোন অনিয়ম ও জুলুম নেই যা তিনি করেননি। বর্তমানেও তিনি বিভিন্ন ভাবে মানুষদের হয়রানি করে আসছেন। জুলুমবাজ আব্দুল জব্বারের কাছ থেকে সাধারণ মানুষ মুক্তি চায়।

এবিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল জব্বার প্রতিবেদককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।