‘শিবিরকে হারাতে হলে মেধাবী হতে হবে’ —ড. মির্জা গালিব
- আপডেট: ১১:৫১:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫
- / ৫৮
নিজস্ব প্রতিবেদক :
৫ আগস্ট পরবর্তী সময় থেকে দেশের ছাত্ররাজনীতি ও মূলধারার রাজনীতি ধীরে ধীরে ফিরে এসেছে ইতিবাচক ধারায়। এরই ধারাবাহিকতায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া দেশের প্রায় সব বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সম্পন্ন হয়েছে ছাত্র সংসদ নির্বাচন। এসব নির্বাচনে ছাত্রশিবিরের উল্লেখযোগ্য আধিপত্য দেখা গেলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে ছাত্রদলসহ অন্যান্য সংগঠন।
তবে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরকে হারানোর ‘উপায়’ নিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি ও যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মির্জা গালিব।
তিনি বলেছেন,
“শিবিরকে হারাইতে হলে মেধাবী হইতে হবে।”
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই মন্তব্য করেন।
পোস্টে তিনি লিখেন,
“চাকসুতে ২৬টি পদের মধ্যে ২৪টি শিবিরের প্যানেল পাইছে, আর রাকসুতে ২৩টির মধ্যে ২২টি (২০টি হবে)। ছাত্রদল ডাকসু, জাকসু, চাকসু, রাকসু—সব মিলায়ে পাইছে শুধু একটা এজিএস। এই যে সারা দেশব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তরুণ তরুণীদের একচেটিয়া সাপোর্ট পাইতেছে শিবির—এইটা এক নতুন বাংলাদেশের গল্প বলতেছে।”
তিনি আরও বলেন,
“অছাত্র, বয়স্ক ছাত্র, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, চিৎকার-চেচামেচির পুরোনো রাজনৈতিক স্টাইল দিয়া আর রাজনীতি করা যাবে না। শিবিরকে হারাইতে হলে মেধাবী হইতে হবে, ছাত্রদের অধিকার নিয়ে কনস্ট্রাকটিভ রাজনীতি করতে হবে। আর দেখতে-শুনতেও ব্যক্তিত্ববান, কিউট-সুইট টাইপের হইতে হবে; গুণ্ডা-গুণ্ডা ভাব রাখলে হবে না।”
পরিশেষে হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সহকারী অধ্যাপক বলেন,
“এমন এক বাংলাদেশই তো আমরা চাইছিলাম আমাদের সারাটা জীবন ধরে।”
এর আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনে ২৩ পদের মধ্যে ২০টিতে জয় পেয়েছে ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’। শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এফ. নজরুল ইসলাম।





















