০৪:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫

বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ওপর হামলা, দুঃখ প্রকাশ মহাসচিবের

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট: ১১:৩১:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫
  • / ১০২

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। রোববার বিকেলে সিলেট বিভাগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার চলাকালে এ হামলা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন সাংবাদিক হেনস্তা ও মারধরের শিকার হন।

হামলার শিকার ‘আমার দেশ’ পত্রিকার প্রতিবেদক জাহিদুল ইসলাম জানান, তিনি সকাল থেকে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অবস্থান করছিলেন। বিকাল সাড়ে চারটার দিকে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে হঠাৎ কয়েকজন ব্যক্তি তাকে ঘিরে ধরে টেনে নিয়ে যায় এবং মারধর করে।

তিনি আরও বলেন, “আমি ভিডিও করছিলাম। হঠাৎ ৩–৪ জন এসে আমাকে টেনে নিয়ে যায়। তারা আমার মোবাইল ভেঙে ফেলে, প্রেস কার্ড কেড়ে নেয়। আমি বলেছিলাম, যদি ভিডিও করা নিষেধ হয়, আমি মুছে ফেলব। কিন্তু তারা কোনো কথা না শুনেই আমাকে মারধর করে বাইরে বের করে দেয়।”

এ সময় দ্য ডেইলি স্টারের সাজ্জাদ, নয়া দিগন্তের অসীম আল ইমরান এবং জাগো নিউজের খালিদ হোসেনও হেনস্তার শিকার হন বলে উপস্থিত সাংবাদিকরা জানান।

ঘটনার পর সাংবাদিকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। তারা বলেন, একজন সাংবাদিককে রক্তাক্ত করা, মোবাইল ফোন ভাঙচুর ও আইডি কার্ড কেড়ে নেওয়ার মতো ঘটনা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

এদিকে বিএনপি বিটের সাংবাদিকরা হামলাকারী হিসেবে এক ব্যক্তির ছবি সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। তারা জানান, ওই ব্যক্তির নাম ফয়সাল, যিনি সম্প্রতি বিএনপির কার্যক্রমে যুক্ত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ঢাকা মেইলের চিফ রিপোর্টার বোরহান উদ্দিন বলেন, “সহকর্মী জাহিদসহ সাংবাদিকদের ওপর হামলার নেতৃত্ব দিয়েছে ফয়সাল নামের একজন। এই লোকটিকে আগে দেখিনি। দলে প্রভাব বিস্তার করতে পারেন, কিন্তু সাংবাদিকদের সঙ্গে এমন আচরণ কাম্য নয়। বিএনপি নিজের উদ্যোগে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বলে আশা করছি।”

এ ঘটনায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “গণমাধ্যমের সাংবাদিকরাই রাজনৈতিক দলের বক্তব্য, বিবৃতি ও কার্যক্রম জনগণকে অবহিত করেন। আজকের ঘটনা আকস্মিক ও ভুল বোঝাবুঝি থেকে সৃষ্টি হয়েছে। আমরা এ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত।”

Please Share This Post in Your Social Media

বিজ্ঞাপন: ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট এর জন্য যোগাযোগ করুন: ০১৮২৪৯০৯০১০
বিজ্ঞাপন: ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট এর জন্য যোগাযোগ করুন: ০১৮২৪৯০৯০১০

বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ওপর হামলা, দুঃখ প্রকাশ মহাসচিবের

আপডেট: ১১:৩১:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। রোববার বিকেলে সিলেট বিভাগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার চলাকালে এ হামলা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন সাংবাদিক হেনস্তা ও মারধরের শিকার হন।

হামলার শিকার ‘আমার দেশ’ পত্রিকার প্রতিবেদক জাহিদুল ইসলাম জানান, তিনি সকাল থেকে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অবস্থান করছিলেন। বিকাল সাড়ে চারটার দিকে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে হঠাৎ কয়েকজন ব্যক্তি তাকে ঘিরে ধরে টেনে নিয়ে যায় এবং মারধর করে।

তিনি আরও বলেন, “আমি ভিডিও করছিলাম। হঠাৎ ৩–৪ জন এসে আমাকে টেনে নিয়ে যায়। তারা আমার মোবাইল ভেঙে ফেলে, প্রেস কার্ড কেড়ে নেয়। আমি বলেছিলাম, যদি ভিডিও করা নিষেধ হয়, আমি মুছে ফেলব। কিন্তু তারা কোনো কথা না শুনেই আমাকে মারধর করে বাইরে বের করে দেয়।”

এ সময় দ্য ডেইলি স্টারের সাজ্জাদ, নয়া দিগন্তের অসীম আল ইমরান এবং জাগো নিউজের খালিদ হোসেনও হেনস্তার শিকার হন বলে উপস্থিত সাংবাদিকরা জানান।

ঘটনার পর সাংবাদিকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। তারা বলেন, একজন সাংবাদিককে রক্তাক্ত করা, মোবাইল ফোন ভাঙচুর ও আইডি কার্ড কেড়ে নেওয়ার মতো ঘটনা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

এদিকে বিএনপি বিটের সাংবাদিকরা হামলাকারী হিসেবে এক ব্যক্তির ছবি সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। তারা জানান, ওই ব্যক্তির নাম ফয়সাল, যিনি সম্প্রতি বিএনপির কার্যক্রমে যুক্ত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ঢাকা মেইলের চিফ রিপোর্টার বোরহান উদ্দিন বলেন, “সহকর্মী জাহিদসহ সাংবাদিকদের ওপর হামলার নেতৃত্ব দিয়েছে ফয়সাল নামের একজন। এই লোকটিকে আগে দেখিনি। দলে প্রভাব বিস্তার করতে পারেন, কিন্তু সাংবাদিকদের সঙ্গে এমন আচরণ কাম্য নয়। বিএনপি নিজের উদ্যোগে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বলে আশা করছি।”

এ ঘটনায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “গণমাধ্যমের সাংবাদিকরাই রাজনৈতিক দলের বক্তব্য, বিবৃতি ও কার্যক্রম জনগণকে অবহিত করেন। আজকের ঘটনা আকস্মিক ও ভুল বোঝাবুঝি থেকে সৃষ্টি হয়েছে। আমরা এ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত।”