বিএনপির অভিযোগ: অন্তর্বর্তী সরকারের ‘নিরপেক্ষতা’ প্রশ্নের মুখে
- আপডেট: ১২:১১:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫
- / ১১৭
নিজস্ব প্রতিবেদক | বর্তমান কথা
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিএনপি। দলটির অভিযোগ, সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টার বক্তব্য, তৎপরতা ও পদক্ষেপ সরকারের নিরপেক্ষ ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে।
বিএনপি নেতারা দাবি করছেন, প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে রদবদল ও পদায়নে কিছু উপদেষ্টা পক্ষপাতমূলক আচরণ করছেন এবং বিশেষ একটি রাজনৈতিক দলের স্বার্থে কাজ করছেন। তাছাড়া মাঠপর্যায়ে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার প্যানেল গঠনের ক্ষেত্রেও একই দলের ব্যক্তিদের প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে বলে দলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। এসব ঘটনায় বিএনপি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
দলটির স্থায়ী কমিটির নেতারা মনে করেন, সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে অন্তর্বর্তী সরকারের এখনই সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ অবস্থান গ্রহণ করা জরুরি। এজন্য তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মতো একটি নির্দলীয় চরিত্র গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে প্রশাসন ও সরকারের কর্মকাণ্ডে শতভাগ নিরপেক্ষতা নিশ্চিত হয়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সোমবার রাতে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়—প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশে ফিরলে দলটির পক্ষ থেকে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ বিষয়ে উদ্বেগ জানানো হবে।
এছাড়া স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল শিগগিরই নির্বাচন কমিশনে গিয়ে একই বিষয়ে অবহিত করবে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাবে।
বৈঠকে আরও সিদ্ধান্ত হয়, বিএনপি জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে; তবে তার আগে ঐকমত্য কমিশনের পাঠানো চূড়ান্ত খসড়া ভালোভাবে পর্যালোচনা করছে দলটি। বৈঠকের তথ্যসূত্রে এসব জানা গেছে।
লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বৈঠকে উপস্থিত এক স্থায়ী কমিটির সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,
“কিছু উপদেষ্টার কর্মকাণ্ড সরকারের নিরপেক্ষতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। প্রশাসনে রদবদল ও পদায়নে পক্ষপাতমূলক আচরণ দেখা যাচ্ছে, বিশেষ করে জামায়াতে ইসলামীর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। এসব বিষয়ে বিএনপির কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য রয়েছে।”
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সূত্রে জানা গেছে, চলতি অক্টোবরের মধ্যেই ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার প্যানেল চূড়ান্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ জন্য গত ২ সেপ্টেম্বর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের চিঠি পাঠানো হয়। তাতে ৩০ অক্টোবরের মধ্যে প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার নিয়োগের প্যানেল প্রস্তুতের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
প্যানেল তৈরির জন্য সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন ব্যাংক-বিমা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে কর্মকর্তাদের তালিকা চাওয়া হয়েছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটিতে এই বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে আলোচিত হয়।


























