বাংলাদেশ ১৭ কোটি মানুষের খাদ্যের যোগান দিচ্ছে, ১৩ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয়: ড. মুহাম্মদ ইউনূস
- আপডেট: ১০:০৬:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
- / ৫৫
রোম, ১৩ অক্টোবর ২০২৫ – “বাংলাদেশ একটি ছোট আয়তনের দেশ হলেও এটি ১৭ কোটি মানুষের খাদ্যের চাহিদা পূরণ করছে এবং ১৩ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে,”—বিশ্ব খাদ্য ফোরামের একটি সমাবেশে প্রধান বক্তার ভাষণে এ কথা বলেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
ইতালির রোমে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় অনুষ্ঠিত বিশ্ব খাদ্য ফোরামের এই অনুষ্ঠানে ড. ইউনূস তার লিখিত বক্তব্যে আরও বলেন, “আমরা ধান উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি। বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধান, শাকসবজি ও মিঠাপানির মাছ উৎপাদনকারী দেশ।”
বাংলাদেশের কৃষিখাতের সফলতা
ড. ইউনূস তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন:
দেশের কৃষকেরা ফসল চাষের ঘনত্ব ২১৪ শতাংশে উন্নীত করেছেন।
১৩৩টি জলবায়ু-সহনশীল ধানের জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে।
কৃষি যন্ত্রায়নে সরকার ৭০% পর্যন্ত ভর্তুকি প্রদান করেছে।
শক্তিশালী খাদ্য বিতরণ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে।
শিশুদের খর্বতা হ্রাস পেয়েছে এবং খাদ্যতালিকা বৈচিত্র্যময় হয়েছে।
পরিবেশ সংরক্ষণ—বিশেষ করে মাটি, পানি ও জীববৈচিত্র্যের—মাধ্যমে কৃষি ব্যবস্থা আরও সবুজ হয়েছে।
এফএও ও ইউনূসের ভূমিকা
অধ্যাপক ইউনূস উল্লেখ করেন, “আমি আনন্দিত যে ২০১৬ সালে গঠিত ‘নোবেল পিস লরিয়েটস অ্যালায়েন্স ফর ফুড সিকিউরিটি অ্যান্ড পিস’, যার আমি একজন সদস্য, সেটি এখন FAO’র একটি মাইলফলক হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। আমি আশা করি এটি ভবিষ্যতে আরও নতুন মাইলফলক স্থাপন করবে।”
বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের গর্ব
এই বক্তব্যে বাংলাদেশের কৃষি ও মানবিক সহনশীলতা তুলে ধরে ড. ইউনূস আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের সাফল্য ও নেতৃত্বের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ আয়তনে ছোট হলেও আমাদের সক্ষমতা বিশাল। আমরা শুধু নিজেদের না, আশ্রয়প্রার্থী মানুষের প্রতিও দায়িত্বশীল।”
—

























