বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’ থেকে বহিষ্কৃত ইসমাইল মোল্লার চাঁদাবাজির শেষ কোথায়
- আপডেট: ১১:১৯:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৫
- / ২১৭
দ্বিতীয় পর্ব
জান্নাতুল ফেরদৌসঃ
রাজধানীর প্রায় সর্বত্রই ফুটপাত ধান্ধার চাঁদাবাজেরা স্বীকৃত ও বেপোয়ারাভাবে বহাল ছিল। ৫ আগষ্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের আগে চাঁদাবাজেরা কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে কাড়িকাড়ি টাকা চাঁদা হিসেবে হাতিয়ে নিত। সে ক্ষেত্র বিশেষে সংশ্লিষ্ট ক্ষমতাবান অনেকেসহ সচেতনদের সবাই ভূক্তভোগী হয়েও নির্বীকার। যেন তারা বশিকরণের জালে আটকা অথবা চোখ রাঙানির ভয়ে বোবা। ৫ আগষ্ট রাজনৈতিক ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর কিছুটা স্বস্তি দেখা দিলে দ্রুত সময়ের মধ্যেই সে আশার প্রদীপ নিভিয়ে ফিরে এসেছে নীরব চাঁদাবাজির সেই ভয়াবহ পুরোনো চিত্র।রাজধানীর মেট্রোরেল থেকে দৈনিক বাংলার মোড় ও মতিঝিল সিটি কর্পোরেশন পার্কে রাত এগারো টার পর থেকে জুয়ার আসার চলে।
সরেজমিনে গেলে দেখা যায় নীরবে চলছে চাঁদাবাজি নিয়মিত ফুটপাত দোকানীদের চাঁদা দিতে হয় ৩০০ /৫০০টাকা । আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় চাঁদাবাজ ইসমাইল মোল্লা ছিলেন একজন পুলিশের সোর্স, বিএনপির কখনো মিছিল মিটিং এ নেতাকর্মী বের হলে তাদেরকে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দিতেন, তার একটি ভয়েস রেকর্ড রয়েছে গণমাধ্যমের হাতে তাতে প্রমাণিত হয়। তিনি স্বৈরাচার আমলে বিএনপি’র কত বড় শত্রু ছিল। সেই চাঁদাবাজ ইসমাইল এখন আবার বিএনপি’র নাম ভাঙ্গিয়ে অহরহ চাঁদাবাজি করে বেড়াচ্ছেন এ যেন দেখার কেউ নেই।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর দুঃসময়ে কোন মিছিল মিটিংয়ে যোগ দেননি কিন্তু দলকে বিভিন্ন সময় প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন সেই সময়, তাই তাকে বহিষ্কার করেছেন দলের ঊর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দ।
শুনা যায় সেই চক্রের সুবিধা পেত পুলিশ প্রশাসনও। এখন ক্ষমতার পট পরিবর্তন হলেও চাঁদাবাজির হাত থেকে রেহাই মিলেনি হকারদের উল্টো চাঁদার হার বেড়েছে চারগুণ। প্রকাশ্যে হকাররা চাাঁদার কথা স্বীকার করতেও ভয় পায়। দিনের শেষ ভাগে বাদ আসর এই নয়া চাঁদাবাজের প্রতিনিধিরা গোপনে এই চাঁদা সংগ্রহ করে থাকেন, সাংবাদিক বা সচেতন কোন মানুষের অবস্থান টের পেলে সরে যান। হকার বা দোকানীরা এদের ভয়ে তটস্থ থাকেন।
এই চক্র তাদের বলেন কেউ যেন চাঁদার বিষয়ে কারো কাছে মুখ না খোলেন নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক কয়েকজন হকার বলেন, একটি বিশেষ দলের পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজ ইসমাইল চক্র এই চাঁদাবাজি করছে।
এখানে উল্লেখ থকে যে, সাবেক চাঁদাবাজ শহীদ মোল্লা যিনি আততায়ী হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। তারই ছোট ভাই ইসমাইল মোল্লা। এখানে আরো জানা যায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এর মতিঝিল পার্কের অফিসটি দখল করে নিজ অফিস হিসেবে ব্যবহার করছেন।
আর, এ সুযোগে ওই সব চাঁদাবাজরা হকারসহ ওই সবার মাথায় কাঠাল রেখে চাঁদাবাজির টাকায় আলিশান জীবন লুফে মরিয়া রয়েছে নিরীহের রক্ত চোষায়। পথচারী ভোগান্তিকে রুপ দিচ্ছে- চাঁদাবাজি ধান্ধাবাজিতে।
উক্ত বিষয় গণমাধ্যম কর্মীগণ তার মুঠোফোনে ফোন দিলে তিনি গণমাধ্যমকে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন।
সুশীল সমাজ বলেন, এ সমস্যার সমাধান করতে হলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিশেষ করে থাইল্যান্ড,মালয়েশিয়া ও ভারতে যেভাবে আইনী নীতিমালার মাধ্যমে নির্দিষ্ট স্থান ও নিবন্ধনের মাধ্যমে ব্যবসা করার সুযোগ দিয়ে সেসব দেশের সরকার বিপুল রাজস্ব আদায় করছে। একইভাবে আমাদের দেশের হকারদের ব্যবসা করার সুযোগ দিলে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব পেতে পারে। তারা আরো বলেন, নিবন্ধন না থাকায় সরকার প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

























