১২:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫

দেশের ১২১ কারিগরি কলেজ ও তিন মাদ্রাসায় ইন্টারনেট সংযোগ বাবদ বিটিসিএলের ২ কোটি ৬১ লাখ টাকার বকেয়া

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট: ০৬:০৩:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫
  • / ১১১

ছবি- আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই)

বিশেষ প্রতিনিধিঃ দেশের ১২১টি কারিগরি কলেজ এবং তিনটি মাদ্রাসায় ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপন ও বিল বাবদ বিটিসিএলের দুই কোটি ৬১ লাখ ৬৪ হাজার ২১ টাকা বকেয়া পড়ে আছে। যা নিয়ে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল) ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

দেশের ১২১টি কারিগরি কলেজ এবং তিনটি মাদ্রাসায় ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপন ও বিল বাবদ ২ কোটি ৬১ লাখ ৬৪ হাজার ২১ টাকা বকেয়া পড়ে আছে। এ নিয়ে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল) ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আইসিটি অধিশাখা (১৮ আগস্ট) এবং কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের সমন্বয়, এপিএ ও আইসিটি শাখা-২ (১৯ আগস্ট) থেকে প্রকাশিত দুটি স্মারকে বৈঠকের বিষয়টি জানানো হয়।

গত ৭ আগস্ট অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের তৎকালীন সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম


প্রকল্পের পটভূমি

২০২০ সালে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীনে বিটিসিএল একটি প্রকল্প গ্রহণ করে। এতে ১২১টি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও তিনটি মাদ্রাসায় অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগ, যন্ত্রপাতি ও ওয়াইফাই চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়। সমঝোতা অনুযায়ী প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে ২০ এমবিপিএস ব্যান্ডউইডথ সরবরাহের কথা ছিল।

আগস্ট ২০২১ থেকে সেপ্টেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত সময়ে এ সেবার বিপরীতে ২ কোটি ৬১ লাখ টাকার বিল জমা হয়। এ বিষয়ে যাচাই করতে শিক্ষা বিভাগ গত বছরের ডিসেম্বরে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। কমিটি ঢাকা, নরসিংদী, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার ১২টি প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন শেষে প্রতিবেদন দেয়।


বৈঠকের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তসমূহ

  1. ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে বিদ্যমান হারে বিল পরিশোধ করবে প্রতিষ্ঠানগুলো, সংযোগ সচল থাকলে।

  2. নিরবচ্ছিন্ন সেবা নিশ্চিতে দুটি ব্রডব্যান্ড সংযোগ রাখতে হবে— একটি বিটিসিএল, অন্যটি বিকল্প (সরকারি/বেসরকারি)।

  3. কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের বাইরে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিল সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠাবে বিটিসিএল।

  4. বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিল সরাসরি প্রতিষ্ঠানগুলোকেই পরিশোধ করতে হবে

  5. এপি সিস্টেমের পরিবর্তে প্রতিষ্ঠানের রাউটার বা লোকাল নেটওয়ার্কে ব্যান্ডউইডথ সংযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

  6. জুন ২০২৫ পর্যন্ত সংযোগ সচল ছিল কিনা—তার হালনাগাদ তথ্য কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে বিভাগে পাঠাতে হবে।
    মু:হাসান আল মামুন / বিশেষ প্রতিনিধি

Please Share This Post in Your Social Media

বিজ্ঞাপন: ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট এর জন্য যোগাযোগ করুন: ০১৮২৪৯০৯০১০
বিজ্ঞাপন: ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট এর জন্য যোগাযোগ করুন: ০১৮২৪৯০৯০১০

দেশের ১২১ কারিগরি কলেজ ও তিন মাদ্রাসায় ইন্টারনেট সংযোগ বাবদ বিটিসিএলের ২ কোটি ৬১ লাখ টাকার বকেয়া

আপডেট: ০৬:০৩:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫

বিশেষ প্রতিনিধিঃ দেশের ১২১টি কারিগরি কলেজ এবং তিনটি মাদ্রাসায় ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপন ও বিল বাবদ বিটিসিএলের দুই কোটি ৬১ লাখ ৬৪ হাজার ২১ টাকা বকেয়া পড়ে আছে। যা নিয়ে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল) ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

দেশের ১২১টি কারিগরি কলেজ এবং তিনটি মাদ্রাসায় ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপন ও বিল বাবদ ২ কোটি ৬১ লাখ ৬৪ হাজার ২১ টাকা বকেয়া পড়ে আছে। এ নিয়ে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল) ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আইসিটি অধিশাখা (১৮ আগস্ট) এবং কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের সমন্বয়, এপিএ ও আইসিটি শাখা-২ (১৯ আগস্ট) থেকে প্রকাশিত দুটি স্মারকে বৈঠকের বিষয়টি জানানো হয়।

গত ৭ আগস্ট অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের তৎকালীন সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম


প্রকল্পের পটভূমি

২০২০ সালে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীনে বিটিসিএল একটি প্রকল্প গ্রহণ করে। এতে ১২১টি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও তিনটি মাদ্রাসায় অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগ, যন্ত্রপাতি ও ওয়াইফাই চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়। সমঝোতা অনুযায়ী প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে ২০ এমবিপিএস ব্যান্ডউইডথ সরবরাহের কথা ছিল।

আগস্ট ২০২১ থেকে সেপ্টেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত সময়ে এ সেবার বিপরীতে ২ কোটি ৬১ লাখ টাকার বিল জমা হয়। এ বিষয়ে যাচাই করতে শিক্ষা বিভাগ গত বছরের ডিসেম্বরে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। কমিটি ঢাকা, নরসিংদী, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার ১২টি প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন শেষে প্রতিবেদন দেয়।


বৈঠকের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তসমূহ

  1. ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে বিদ্যমান হারে বিল পরিশোধ করবে প্রতিষ্ঠানগুলো, সংযোগ সচল থাকলে।

  2. নিরবচ্ছিন্ন সেবা নিশ্চিতে দুটি ব্রডব্যান্ড সংযোগ রাখতে হবে— একটি বিটিসিএল, অন্যটি বিকল্প (সরকারি/বেসরকারি)।

  3. কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের বাইরে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিল সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠাবে বিটিসিএল।

  4. বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিল সরাসরি প্রতিষ্ঠানগুলোকেই পরিশোধ করতে হবে

  5. এপি সিস্টেমের পরিবর্তে প্রতিষ্ঠানের রাউটার বা লোকাল নেটওয়ার্কে ব্যান্ডউইডথ সংযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

  6. জুন ২০২৫ পর্যন্ত সংযোগ সচল ছিল কিনা—তার হালনাগাদ তথ্য কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে বিভাগে পাঠাতে হবে।
    মু:হাসান আল মামুন / বিশেষ প্রতিনিধি