০৪:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫

তরুণদের শক্তিতেই এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ: প্রধান উপদেষ্টা,,,,,দৈনিক বর্তমান কথা

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট: ০১:৫৯:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ১১৮

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, তরুণরা সক্রিয় থাকলে দেশের কোনো সমস্যাই অমীমাংসিত থেকে যাবে না। সমাজের প্রতিটি স্তরে তরুণদের মেধা, শক্তি ও সৃজনশীলতা কাজে লাগাতে পারলেই বাংলাদেশ নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে।

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের শাপলা হলে আয়োজিত ‘ইয়্যুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড-২০২৫’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আজ আমরা তারুণ্যের শক্তিকে উদযাপন করছি। এটিই আমাদের জাতির চালিকাশক্তি। যখন একটি দেশের যুবসমাজ উদ্যমী, সক্রিয় ও উদ্ভাবনী শক্তিতে সমৃদ্ধ হয়, তখন কোনো প্রতিবন্ধকতাই তাদের অগ্রযাত্রাকে থামাতে পারে না।”

তিনি আরও বলেন, তরুণরা শুধু শিক্ষাক্ষেত্রেই নয়, স্বাস্থ্যসেবা, পরিবেশ রক্ষা, দারিদ্র্য বিমোচন এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায়ও অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান থেকে শুরু করে এ দেশের প্রতিটি ঐতিহাসিক মুহূর্তে তরুণরাই নেতৃত্ব দিয়েছে।

প্রফেসর ইউনূস জানান, “আমাদের চলার পথে জনস্বাস্থ্যের সংকট, শিক্ষার সীমাবদ্ধতা কিংবা পরিবেশগত বিপর্যয়ের মতো নানা চ্যালেঞ্জ আসবে। কিন্তু এগুলোকে হতাশার কারণ হিসেবে না দেখে বরং ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে হবে। আমি আশা করি এ কাজেও তরুণরা নেতৃত্ব দেবে।”

তিনি বলেন, স্বেচ্ছাসেবা শুধু আর্তমানবতার কল্যাণে সীমাবদ্ধ নয়; এটি আত্মোন্নয়ন, চরিত্র গঠন এবং নেতৃত্বের গুণাবলি বিকাশের আদর্শ মাধ্যম। আজকের পুরস্কারপ্রাপ্তরা শুধু স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে নয়, ভবিষ্যতে সমাজের নীতি নির্ধারক, উদ্ভাবক ও পরিবর্তনের স্থপতি হিসেবেও নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করবে।

প্রধান উপদেষ্টা তরুণদের উদ্দেশে বলেন, “তোমাদের প্রতিটি ক্ষুদ্র উদ্যোগও বড় পরিবর্তনের সূচনা করতে পারে। শিক্ষা খাতে ছোট পদক্ষেপ দেশের মান উন্নত করতে পারে, স্বাস্থ্য সেবায় উদ্যোগ হাজারো প্রাণ রক্ষা করতে পারে, আর পরিবেশ রক্ষায় সম্মিলিত প্রচেষ্টা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নিরাপদ পৃথিবী নিশ্চিত করতে পারে।”

তিনি স্বীকার করেন, স্বেচ্ছাসেবার পথ সহজ নয়। সময়, অর্থ এবং মানসিক চাপের মতো নানা বাধা অতিক্রম করেই ধৈর্য, সহনশীলতা ও নেতৃত্বের গুণ অর্জন করতে হয়। তবে তরুণদের সম্মিলিত প্রয়াসই বাংলাদেশকে উন্নত, মানবিক ও উদ্ভাবনী রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বে পরিচিত করবে।

  1. অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া এবং স্বাগত বক্তব্য দেন যুব ও ক্রীড়া সচিব মাহবুব আলম।

Please Share This Post in Your Social Media

বিজ্ঞাপন: ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট এর জন্য যোগাযোগ করুন: ০১৮২৪৯০৯০১০
বিজ্ঞাপন: ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট এর জন্য যোগাযোগ করুন: ০১৮২৪৯০৯০১০

তরুণদের শক্তিতেই এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ: প্রধান উপদেষ্টা,,,,,দৈনিক বর্তমান কথা

আপডেট: ০১:৫৯:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, তরুণরা সক্রিয় থাকলে দেশের কোনো সমস্যাই অমীমাংসিত থেকে যাবে না। সমাজের প্রতিটি স্তরে তরুণদের মেধা, শক্তি ও সৃজনশীলতা কাজে লাগাতে পারলেই বাংলাদেশ নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে।

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের শাপলা হলে আয়োজিত ‘ইয়্যুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড-২০২৫’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আজ আমরা তারুণ্যের শক্তিকে উদযাপন করছি। এটিই আমাদের জাতির চালিকাশক্তি। যখন একটি দেশের যুবসমাজ উদ্যমী, সক্রিয় ও উদ্ভাবনী শক্তিতে সমৃদ্ধ হয়, তখন কোনো প্রতিবন্ধকতাই তাদের অগ্রযাত্রাকে থামাতে পারে না।”

তিনি আরও বলেন, তরুণরা শুধু শিক্ষাক্ষেত্রেই নয়, স্বাস্থ্যসেবা, পরিবেশ রক্ষা, দারিদ্র্য বিমোচন এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায়ও অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান থেকে শুরু করে এ দেশের প্রতিটি ঐতিহাসিক মুহূর্তে তরুণরাই নেতৃত্ব দিয়েছে।

প্রফেসর ইউনূস জানান, “আমাদের চলার পথে জনস্বাস্থ্যের সংকট, শিক্ষার সীমাবদ্ধতা কিংবা পরিবেশগত বিপর্যয়ের মতো নানা চ্যালেঞ্জ আসবে। কিন্তু এগুলোকে হতাশার কারণ হিসেবে না দেখে বরং ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে হবে। আমি আশা করি এ কাজেও তরুণরা নেতৃত্ব দেবে।”

তিনি বলেন, স্বেচ্ছাসেবা শুধু আর্তমানবতার কল্যাণে সীমাবদ্ধ নয়; এটি আত্মোন্নয়ন, চরিত্র গঠন এবং নেতৃত্বের গুণাবলি বিকাশের আদর্শ মাধ্যম। আজকের পুরস্কারপ্রাপ্তরা শুধু স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে নয়, ভবিষ্যতে সমাজের নীতি নির্ধারক, উদ্ভাবক ও পরিবর্তনের স্থপতি হিসেবেও নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করবে।

প্রধান উপদেষ্টা তরুণদের উদ্দেশে বলেন, “তোমাদের প্রতিটি ক্ষুদ্র উদ্যোগও বড় পরিবর্তনের সূচনা করতে পারে। শিক্ষা খাতে ছোট পদক্ষেপ দেশের মান উন্নত করতে পারে, স্বাস্থ্য সেবায় উদ্যোগ হাজারো প্রাণ রক্ষা করতে পারে, আর পরিবেশ রক্ষায় সম্মিলিত প্রচেষ্টা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নিরাপদ পৃথিবী নিশ্চিত করতে পারে।”

তিনি স্বীকার করেন, স্বেচ্ছাসেবার পথ সহজ নয়। সময়, অর্থ এবং মানসিক চাপের মতো নানা বাধা অতিক্রম করেই ধৈর্য, সহনশীলতা ও নেতৃত্বের গুণ অর্জন করতে হয়। তবে তরুণদের সম্মিলিত প্রয়াসই বাংলাদেশকে উন্নত, মানবিক ও উদ্ভাবনী রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বে পরিচিত করবে।

  1. অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া এবং স্বাগত বক্তব্য দেন যুব ও ক্রীড়া সচিব মাহবুব আলম।