জুমার দিনের প্রধান আমল: মহান দিবসে রয়েছে অফুরন্ত সওয়াবের সুযোগ
- আপডেট: ১০:৪৭:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫
- / ৫৮
ইসলামে জুমার দিনকে সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। নবী করিম (সা.) বলেছেন, “সূর্য উদয়ের সেরা দিন হলো জুমা।” (মুসলিম)। এদিনে মুসলমানদের জন্য রয়েছে বিশেষ আমল, দোয়া, ও আত্মশুদ্ধির সুযোগ।
ধর্মবিশারদদের মতে, জুমার দিনের আমল শুধু ফরজ নামাজে সীমাবদ্ধ নয়; বরং পুরো দিনটি জিকির, দরুদ, দোয়া, কুরআন তিলাওয়াত এবং দান-সদকা দিয়ে পরিপূর্ণ করার নির্দেশনা দিয়েছেন মহানবী (সা.)।
জুমার দিন সকাল থেকেই গোসল করা, পরিষ্কার কাপড় পরা, সুগন্ধি ব্যবহার করা ও সময়মতো মসজিদে গমন করা সুন্নত। রাসুল (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি জুমার দিনে গোসল করে, উত্তম পোশাক পরে, মসজিদে গিয়ে মনোযোগ সহকারে খুতবা শোনে ও নামাজ পড়ে, তার পূর্ববর্তী জুমা পর্যন্ত সমস্ত গুনাহ মাফ করা হয়।” (বুখারি ও মুসলিম)।
এদিনে সূরা কাহফ তিলাওয়াতের বিশেষ ফজিলত রয়েছে। হাদিসে এসেছে—“যে ব্যক্তি জুমার দিনে সূরা কাহফ পাঠ করবে, তার দুই জুমার মধ্যবর্তী সময় আলোকিত থাকবে।” (হাকিম)।
এছাড়া জুমার দিন এমন একটি সময় রয়েছে, যখন আল্লাহ তায়ালা বান্দার দোয়া অবশ্যই কবুল করেন। অনেক আলেমের মতে, এ সময়টি আসরের পর থেকে মাগরিবের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত। তাই মুসলমানদের এ সময়টিতে বেশি বেশি ইস্তেগফার, দরুদ ও দোয়া করার পরামর্শ দিয়েছেন ইসলামী চিন্তাবিদেরা।
বাংলাদেশের বিভিন্ন মসজিদে শুক্রবারে মুসল্লিদের ভিড় থাকে সবচেয়ে বেশি। অনেকেই এদিনে পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের জন্য দোয়া, দান-খয়রাত ও কবর জিয়ারতের আয়োজন করে থাকেন। ধর্মীয় নেতারা বলেন, “জুমার দিন হলো আধ্যাত্মিক পরিশুদ্ধির দিন; এদিনের প্রতিটি মুহূর্তকে ইবাদতে ব্যয় করা উচিত।”





















