০৬:৪০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫

জাল দলিল দিয়ে জমি খারিজের অভিযোগ, নবীনগরে সংবাদ সম্মেলন

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট: ০১:৫৮:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫
  • / ৬০

 

সাবশিরোনাম:
বিভেদ ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগে দাদা পক্ষের নাতনীর জমি অধিকার রক্ষা চাওয়া

নবীনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, (— নবীনগর উপজেলার জিনদপুর ইউনিয়নের মালাই গ্রামের দাদা দাদির অংশে থাকা ১৯৩৮ ও ১৯৩৯ দাগের ৬৫ শতক নাল ভূমি নতুন করে নাটঘর ইউনিয়নের চড়িলাম মজার নামে জাল দলিল দিয়ে খারিজ করা হয়েছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জমির প্রকৃত ওয়ারিশ মৃত হাজী জাহেরের নাতনী মনিরা।

শনিবার (তারিখ) উপজেলার এক সংবাদ সম্মেলনে মনিরা দাবি করেন, তাঁর দাদা হাজী জাহেরের দুই সংসার ছিল। প্রথম সংসারে পাঁচ ছেলে ও তিন মেয়ে, দ্বিতীয় সংসারে চার মেয়ে ও দুই ছেলে — মোট ১৪ জন সন্তান। দাদীর দ্বিতীয় সংসারের স্ত্রী জীবিত থাকা অবস্থায় ওয়ারিশ হিসেবে জমির মালিকানা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল।

তবে মনিরা জানান, তাঁর তিন ফুফু লাইলী বেগম, আনোয়ার, পারভীন আক্তার ও অরুণা ষড়যন্ত্র করে নবীনগরে একটি ভুয়া দলিল তৈরি করেন। সেই ভুয়া দলিল ভিত্তিতে মালাই গ্রামের অংশ জমি নাটঘর ইউনিয়নের চড়িলাম মজায় স্থানান্তর ও রাজস্ব দপ্তরে “খারিজ” করা হয়েছে।

মনিরা আরও বলেন, তিনি প্রকৃত দলিলসহ ভূমি অফিসে খারিজ বাতিলের জন্য আবেদন দেন, তবে নবীনগর উপজেলা ভূমি অফিস সেই আবেদন বাতিল করে দেন। তিনি উচ্চতর কর্তৃপক্ষের কাছে পুনর্বিবেচনা ও সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছেন।

উপজেলা নির্বাহী কমিশনার (ভূমি) খালিদ বিন মনসুর এ বিষয়ে বলেন, জমিটি নিয়ে একটি “মিস কেস” রুজু হয়েছিল। তিনি কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে একটি আদেশ দিয়েছেন। যদি আবেদনকারী রায়ে সন্তুষ্ট নন, তাহলে তিনি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে আপিল করতে পারবেন।

পরবর্তী করণীয় পরামর্শ

1. আবেদনপত্র ও নোটিশ প্রস্তুতি:
— খারিজকৃত রেকর্ড খারিজ করণের বিষয়ে সরেজমিন তদন্ত ও পুনরীক্ষণ চেয়ে উর্ধ্বতন ভূমি দপ্তরে (ডিসি অফিস, মেট্রোপলিটন জুডিশিয়াল কর্তৃপক্ষ) ও মন্ত্রণালয়ে লিখিত আবেদন পাঠানো।
— আদালতে বিচারবহির্ভূত খারিজাদেশ (প্রপ্সিয়াগি মামলা / রিভিলসন মামলা) দায়ের করার মাধ্যমেও দাবি করা যেতে পারে।

2. সাক্ষ্য সংকলন ও দলিল প্রমাণ:
— মূল দলিল, সৌজন্য নকল, ওয়ারিশ সনদ, জমি পরিমাপক বা ফটোগ্রাফিক প্রমাণ সংগ্রহ করা।
— স্থানীয় সাক্ষীদের (বাড়ি প্রতিবেশী, পুরাতন গ্রামবাসী) বিবৃতি নেওয়া।
— ভূমি দফতরের ও খতিয়ান, রেকর্ড এবং ডিজিটাল দলিলাদি পর্যালোচনা করা।

3. নাগরিক ও গণমাধ্যম সহযোগিতা:
— স্থানীয় সাংবাদিক ও গণমাধ্যমে সংবাদ প্রদান করা (যেমন জেলা পত্রিকা, অনলাইন নিউজ পোর্টাল)।
— মানবাধিকার ও ভূমি অধিকার সংস্থা বা আইনজীবী সমিতির সহায়তা নেওয়া।

4. আইনি প্রতিরক্ষা:
— একজন অভিজ্ঞ ভূমি আইনজীবী নিয়োগ করা।
— সময়সীমা মেনে আপিল, রিভিউ ও উচ্চ আদালতে মামলা চালানো।

 

Please Share This Post in Your Social Media

বিজ্ঞাপন: ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট এর জন্য যোগাযোগ করুন: ০১৮২৪৯০৯০১০
বিজ্ঞাপন: ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট এর জন্য যোগাযোগ করুন: ০১৮২৪৯০৯০১০

জাল দলিল দিয়ে জমি খারিজের অভিযোগ, নবীনগরে সংবাদ সম্মেলন

আপডেট: ০১:৫৮:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

 

সাবশিরোনাম:
বিভেদ ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগে দাদা পক্ষের নাতনীর জমি অধিকার রক্ষা চাওয়া

নবীনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, (— নবীনগর উপজেলার জিনদপুর ইউনিয়নের মালাই গ্রামের দাদা দাদির অংশে থাকা ১৯৩৮ ও ১৯৩৯ দাগের ৬৫ শতক নাল ভূমি নতুন করে নাটঘর ইউনিয়নের চড়িলাম মজার নামে জাল দলিল দিয়ে খারিজ করা হয়েছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জমির প্রকৃত ওয়ারিশ মৃত হাজী জাহেরের নাতনী মনিরা।

শনিবার (তারিখ) উপজেলার এক সংবাদ সম্মেলনে মনিরা দাবি করেন, তাঁর দাদা হাজী জাহেরের দুই সংসার ছিল। প্রথম সংসারে পাঁচ ছেলে ও তিন মেয়ে, দ্বিতীয় সংসারে চার মেয়ে ও দুই ছেলে — মোট ১৪ জন সন্তান। দাদীর দ্বিতীয় সংসারের স্ত্রী জীবিত থাকা অবস্থায় ওয়ারিশ হিসেবে জমির মালিকানা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল।

তবে মনিরা জানান, তাঁর তিন ফুফু লাইলী বেগম, আনোয়ার, পারভীন আক্তার ও অরুণা ষড়যন্ত্র করে নবীনগরে একটি ভুয়া দলিল তৈরি করেন। সেই ভুয়া দলিল ভিত্তিতে মালাই গ্রামের অংশ জমি নাটঘর ইউনিয়নের চড়িলাম মজায় স্থানান্তর ও রাজস্ব দপ্তরে “খারিজ” করা হয়েছে।

মনিরা আরও বলেন, তিনি প্রকৃত দলিলসহ ভূমি অফিসে খারিজ বাতিলের জন্য আবেদন দেন, তবে নবীনগর উপজেলা ভূমি অফিস সেই আবেদন বাতিল করে দেন। তিনি উচ্চতর কর্তৃপক্ষের কাছে পুনর্বিবেচনা ও সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছেন।

উপজেলা নির্বাহী কমিশনার (ভূমি) খালিদ বিন মনসুর এ বিষয়ে বলেন, জমিটি নিয়ে একটি “মিস কেস” রুজু হয়েছিল। তিনি কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে একটি আদেশ দিয়েছেন। যদি আবেদনকারী রায়ে সন্তুষ্ট নন, তাহলে তিনি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে আপিল করতে পারবেন।

পরবর্তী করণীয় পরামর্শ

1. আবেদনপত্র ও নোটিশ প্রস্তুতি:
— খারিজকৃত রেকর্ড খারিজ করণের বিষয়ে সরেজমিন তদন্ত ও পুনরীক্ষণ চেয়ে উর্ধ্বতন ভূমি দপ্তরে (ডিসি অফিস, মেট্রোপলিটন জুডিশিয়াল কর্তৃপক্ষ) ও মন্ত্রণালয়ে লিখিত আবেদন পাঠানো।
— আদালতে বিচারবহির্ভূত খারিজাদেশ (প্রপ্সিয়াগি মামলা / রিভিলসন মামলা) দায়ের করার মাধ্যমেও দাবি করা যেতে পারে।

2. সাক্ষ্য সংকলন ও দলিল প্রমাণ:
— মূল দলিল, সৌজন্য নকল, ওয়ারিশ সনদ, জমি পরিমাপক বা ফটোগ্রাফিক প্রমাণ সংগ্রহ করা।
— স্থানীয় সাক্ষীদের (বাড়ি প্রতিবেশী, পুরাতন গ্রামবাসী) বিবৃতি নেওয়া।
— ভূমি দফতরের ও খতিয়ান, রেকর্ড এবং ডিজিটাল দলিলাদি পর্যালোচনা করা।

3. নাগরিক ও গণমাধ্যম সহযোগিতা:
— স্থানীয় সাংবাদিক ও গণমাধ্যমে সংবাদ প্রদান করা (যেমন জেলা পত্রিকা, অনলাইন নিউজ পোর্টাল)।
— মানবাধিকার ও ভূমি অধিকার সংস্থা বা আইনজীবী সমিতির সহায়তা নেওয়া।

4. আইনি প্রতিরক্ষা:
— একজন অভিজ্ঞ ভূমি আইনজীবী নিয়োগ করা।
— সময়সীমা মেনে আপিল, রিভিউ ও উচ্চ আদালতে মামলা চালানো।