০১:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫

গৌরীপুরে পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ: অপপ্রচারের অভিযোগ স্থানীয় পরিবারের

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট: ০২:৫৮:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫
  • / ৫২

গৌরীপুরে পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ: অপপ্রচারের অভিযোগ স্থানীয় পরিবারের
দাউদকান্দি (কুমিল্লা) প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের আঙ্গাউড়া গ্রামে পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে একই পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধের জেরে সামাজিক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আঙ্গাউড়া গ্রামের মৃত মোস্তাক মাস্টার জীবিত অবস্থায় দ্বিতীয় বিয়ে করলে তার প্রথম স্ত্রী আদালতের আশ্রয় নেন। আদালতের রায়ে মোস্তাক মাস্টারের প্রায় তিন একর সম্পত্তির মালিকানা প্রথম স্ত্রী লাভ করেন। পরবর্তীতে প্রথম স্ত্রী তার স্বামী মোস্তাক মাস্টারকে এক একর সম্পত্তি দানপত্রের মাধ্যমে হস্তান্তর করেন। বাকি প্রায় দুই একর সম্পত্তি জীবিত অবস্থায় তিনি নিজেই তার চার মেয়ে ও এক ছেলে—মোট পাঁচ সন্তানের মধ্যে কবলা করে দেন।

এই সম্পত্তির অংশীদাররা পরবর্তীতে তাদের দখলকৃত জমি থেকে কিছু অংশ বিক্রিও করেন বলে জানা যায়। তবে বি.এস. খতিয়ানে ভুলবশত মোস্তাক মাস্টারের দ্বিতীয় মেয়ে মুন্নির নামে প্রায় দুই শতক জমির পর্চা হয়ে যায়।

উল্লেখ্য, এই জমি আদালতের রায়ে মুন্নির মা স্বামীর নামে মালিকানা নিশ্চিত হয় এবং তিনি তা দলিলের মাধ্যমে সন্তানদের মধ্যে ভাগ করে দেন। ফলে মুন্নি দলিলসূত্রে সম্পত্তির মালিক হলেও পর্চা অনুযায়ী সেই পৈত্রিক জমির মালিকানা তার নামে হয়নি বলে দাবি করেন স্থানীয়রা।

এ বিষয়ে রব মিয়া বলেন, “আমি ওই দিন বাড়িতে ছিলাম না। আমার অনুপস্থিতিতে আমার স্ত্রী পলি বেগমের সঙ্গে মুন্নির কথাকাটাকাটি হয়। পরে আমি বাড়িতে এসে জানতে পারি, কোনো মারধর বা শারীরিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে সামাজিকভাবে হেয় করার চেষ্টা চলছে।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, নিকটস্থ পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ না নেওয়ায় মুন্নি বিভিন্ন মিডিয়ায় অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং পরে আদালতে মামলা দায়ের করেছে।

এ বিষয়ে তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সিদ্দিকুর রহমান বলেন, “আমরা স্থানীয়দের নিয়ে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করেছিলাম। পরে শুনেছি, মুন্নি আদালতে মামলা করেছে।”

স্থানীয়দের মতে, বিষয়টি এখন আইনের আওতায় থাকায় আদালতের রায়ের দিকেই তাকিয়ে আছে দুই পক্ষ।

Please Share This Post in Your Social Media

বিজ্ঞাপন: ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট এর জন্য যোগাযোগ করুন: ০১৮২৪৯০৯০১০
বিজ্ঞাপন: ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট এর জন্য যোগাযোগ করুন: ০১৮২৪৯০৯০১০

গৌরীপুরে পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ: অপপ্রচারের অভিযোগ স্থানীয় পরিবারের

আপডেট: ০২:৫৮:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫

গৌরীপুরে পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ: অপপ্রচারের অভিযোগ স্থানীয় পরিবারের
দাউদকান্দি (কুমিল্লা) প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের আঙ্গাউড়া গ্রামে পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে একই পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধের জেরে সামাজিক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আঙ্গাউড়া গ্রামের মৃত মোস্তাক মাস্টার জীবিত অবস্থায় দ্বিতীয় বিয়ে করলে তার প্রথম স্ত্রী আদালতের আশ্রয় নেন। আদালতের রায়ে মোস্তাক মাস্টারের প্রায় তিন একর সম্পত্তির মালিকানা প্রথম স্ত্রী লাভ করেন। পরবর্তীতে প্রথম স্ত্রী তার স্বামী মোস্তাক মাস্টারকে এক একর সম্পত্তি দানপত্রের মাধ্যমে হস্তান্তর করেন। বাকি প্রায় দুই একর সম্পত্তি জীবিত অবস্থায় তিনি নিজেই তার চার মেয়ে ও এক ছেলে—মোট পাঁচ সন্তানের মধ্যে কবলা করে দেন।

এই সম্পত্তির অংশীদাররা পরবর্তীতে তাদের দখলকৃত জমি থেকে কিছু অংশ বিক্রিও করেন বলে জানা যায়। তবে বি.এস. খতিয়ানে ভুলবশত মোস্তাক মাস্টারের দ্বিতীয় মেয়ে মুন্নির নামে প্রায় দুই শতক জমির পর্চা হয়ে যায়।

উল্লেখ্য, এই জমি আদালতের রায়ে মুন্নির মা স্বামীর নামে মালিকানা নিশ্চিত হয় এবং তিনি তা দলিলের মাধ্যমে সন্তানদের মধ্যে ভাগ করে দেন। ফলে মুন্নি দলিলসূত্রে সম্পত্তির মালিক হলেও পর্চা অনুযায়ী সেই পৈত্রিক জমির মালিকানা তার নামে হয়নি বলে দাবি করেন স্থানীয়রা।

এ বিষয়ে রব মিয়া বলেন, “আমি ওই দিন বাড়িতে ছিলাম না। আমার অনুপস্থিতিতে আমার স্ত্রী পলি বেগমের সঙ্গে মুন্নির কথাকাটাকাটি হয়। পরে আমি বাড়িতে এসে জানতে পারি, কোনো মারধর বা শারীরিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে সামাজিকভাবে হেয় করার চেষ্টা চলছে।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, নিকটস্থ পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ না নেওয়ায় মুন্নি বিভিন্ন মিডিয়ায় অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং পরে আদালতে মামলা দায়ের করেছে।

এ বিষয়ে তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সিদ্দিকুর রহমান বলেন, “আমরা স্থানীয়দের নিয়ে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করেছিলাম। পরে শুনেছি, মুন্নি আদালতে মামলা করেছে।”

স্থানীয়দের মতে, বিষয়টি এখন আইনের আওতায় থাকায় আদালতের রায়ের দিকেই তাকিয়ে আছে দুই পক্ষ।