০৬:৩৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫

গুইমারায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপনে জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জনকে স্মারকলিপি প্রদান,,,,

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট: ০৭:৫৪:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ নভেম্বর ২০২৫
  • / ২১

গুইমারায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপনে জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জনকে স্মারকলিপি প্রদান!

মোঃ রবিউল ইসলাম, (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি

খাগড়াছড়ি’র গুইমারা উপজেলাবাসীর প্রাণের দাবী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ফায়ার সার্ভিস সিবিল ডিফেন্স স্টেশন দ্রুত, স্থাপনের লক্ষে মানব বন্ধন কর্মসূচির ঘোষণার ধারাবাহিকতায়। গুইমারাবাসীর সর্বস্তরের পক্ষ থেকে আজ সোমবার (৩ নভেম্বর ২০২৫) দুপুরে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক এর (ভারপ্রাপ্ত) স্থানীয় সরকার এর উপ-পরিচালক (উপসচিব) নাজমুন আরা সুলতারা ও সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ সাবের এর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন।

এ সময়, গুইমারা উপজেলাবাসী’কে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জন মহোদয় আশ্বস্ত দিয়ে বলেন, খুবই দ্রুত ভাবেই গুইমারা উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স স্টেশন, স্থাপন করা হবে।

এতে উপস্থিত ছিলেন, খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপি সাধারন সম্পাদক, এম এন আবছার, সহ-সভাপতি ক্ষেত্র মোহন রোয়াজা, গুইমারা উপজেলার শিক্ষক ও সমাজসেবক (প্রধান উদ্যোক্তা) মোঃ ইউচুপ, শিক্ষক বাবলু হোসেন, স্থানীয় প্রতিনিধি অংগ্য মগ, মাহবুব আলী, গুইমারা প্রেসক্লাব সভাপতি, সাংবাদিক আব্দুল আলী, সাইফুল ইসলাম, আলা উদ্দিন আরিফ,আরমান হোসেন, দিদারুল আলম, বাবুল, নূর ইসলাম, রাসেল হোসেন, জাহাঙ্গীর আলমসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ৩১ অক্টোবর শুক্রবার সকাল ১০টায়, গুইমারা উপজেলার সর্বস্তরের জনতার আয়োজনে। গুইমারা বাজারের চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়কে বিশিষ্ট সমাজ সেবক, মোঃ ইউচুপের উদ্যোগে, আলাউদ্দিন আরিফের সঞ্চালনায়, হাজারো জনতার সমন্বয়ে মানববন্ধনে আল্টিমেটাম দিয়ে।

জনতা দাবিতে বলেন, খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলা একটি জনবহুল, গুরুত্বপূর্ণ ও দুর্গম এলাকা। এ উপজেলার অধিকাংশ মানুষ পাহাড়ি ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাস করেন। দুঃখজনক ভাবে এখানে কোনো পূর্ণাঙ্গ সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বা উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্র না থাকায়, সাধারণ জনগণকে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্যও দূরবর্তী উপজেলা, জেলা সদর বা চট্টগ্রাম যেতে হয়।

যার ফলে, অনেক রোগী সময়মতো চিকিৎসা না পেয়ে মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়ে। অনেকে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করছেন। বিশেষ করে গর্ভবতী নারী, শিশু, বৃদ্ধ এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠী সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। এরই মধ্যে এই উপজেলায় ঘটে গেছে বেশ কয়েকটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাসহ দূর্ঘটনায় স্থানীয়দের মৃত্যুর ঘটনাও।

গুইমারা উপজেলা ২০১৪ সালের ৬ জুন প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার)১০৯তম সভায় খাগড়াছড়ির নবম উপজেলা হিসেবে গুইমারাকে অনুমোদন দেওয়া হয়। দীর্ঘ ১০ বছর পার হলেও এ উপজেলায় নির্মাণ হয়নি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন। যার ফলে সেবা প্রদান থেকে বঞ্চিত হচ্ছে গুইমারাবাসীরা।

অন্যদিকে, গুইমারা থাকা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গুলোতে নেই জনবল এবং ডাক্তার কোনটিই। এ উপজেলার ৫৫ হাজার জনগন, স্থানীয় ঔষধ ব্যবসায়ীর কাছে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ সুযোগে ঔষধ বিক্রির লোভে অতিরিক্ত ঔষধ, এন্টিবায়োটিক, ভুল চিকিৎসায় অনেকের স্থায়ী অঙ্গহানির শিকার হয়ে অনেকেই মৃত্যুবরণ করছেন। তাই এলাকার মানুষের মৌলিক চাহিদা- দীর্ঘদিনের দাবী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স দ্রুত স্থাপনের।

Please Share This Post in Your Social Media

বিজ্ঞাপন: ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট এর জন্য যোগাযোগ করুন: ০১৮২৪৯০৯০১০
বিজ্ঞাপন: ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট এর জন্য যোগাযোগ করুন: ০১৮২৪৯০৯০১০

গুইমারায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপনে জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জনকে স্মারকলিপি প্রদান,,,,

আপডেট: ০৭:৫৪:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ নভেম্বর ২০২৫

গুইমারায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপনে জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জনকে স্মারকলিপি প্রদান!

মোঃ রবিউল ইসলাম, (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি

খাগড়াছড়ি’র গুইমারা উপজেলাবাসীর প্রাণের দাবী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ফায়ার সার্ভিস সিবিল ডিফেন্স স্টেশন দ্রুত, স্থাপনের লক্ষে মানব বন্ধন কর্মসূচির ঘোষণার ধারাবাহিকতায়। গুইমারাবাসীর সর্বস্তরের পক্ষ থেকে আজ সোমবার (৩ নভেম্বর ২০২৫) দুপুরে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক এর (ভারপ্রাপ্ত) স্থানীয় সরকার এর উপ-পরিচালক (উপসচিব) নাজমুন আরা সুলতারা ও সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ সাবের এর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন।

এ সময়, গুইমারা উপজেলাবাসী’কে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জন মহোদয় আশ্বস্ত দিয়ে বলেন, খুবই দ্রুত ভাবেই গুইমারা উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স স্টেশন, স্থাপন করা হবে।

এতে উপস্থিত ছিলেন, খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপি সাধারন সম্পাদক, এম এন আবছার, সহ-সভাপতি ক্ষেত্র মোহন রোয়াজা, গুইমারা উপজেলার শিক্ষক ও সমাজসেবক (প্রধান উদ্যোক্তা) মোঃ ইউচুপ, শিক্ষক বাবলু হোসেন, স্থানীয় প্রতিনিধি অংগ্য মগ, মাহবুব আলী, গুইমারা প্রেসক্লাব সভাপতি, সাংবাদিক আব্দুল আলী, সাইফুল ইসলাম, আলা উদ্দিন আরিফ,আরমান হোসেন, দিদারুল আলম, বাবুল, নূর ইসলাম, রাসেল হোসেন, জাহাঙ্গীর আলমসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ৩১ অক্টোবর শুক্রবার সকাল ১০টায়, গুইমারা উপজেলার সর্বস্তরের জনতার আয়োজনে। গুইমারা বাজারের চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়কে বিশিষ্ট সমাজ সেবক, মোঃ ইউচুপের উদ্যোগে, আলাউদ্দিন আরিফের সঞ্চালনায়, হাজারো জনতার সমন্বয়ে মানববন্ধনে আল্টিমেটাম দিয়ে।

জনতা দাবিতে বলেন, খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলা একটি জনবহুল, গুরুত্বপূর্ণ ও দুর্গম এলাকা। এ উপজেলার অধিকাংশ মানুষ পাহাড়ি ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাস করেন। দুঃখজনক ভাবে এখানে কোনো পূর্ণাঙ্গ সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বা উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্র না থাকায়, সাধারণ জনগণকে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্যও দূরবর্তী উপজেলা, জেলা সদর বা চট্টগ্রাম যেতে হয়।

যার ফলে, অনেক রোগী সময়মতো চিকিৎসা না পেয়ে মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়ে। অনেকে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করছেন। বিশেষ করে গর্ভবতী নারী, শিশু, বৃদ্ধ এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠী সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। এরই মধ্যে এই উপজেলায় ঘটে গেছে বেশ কয়েকটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাসহ দূর্ঘটনায় স্থানীয়দের মৃত্যুর ঘটনাও।

গুইমারা উপজেলা ২০১৪ সালের ৬ জুন প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার)১০৯তম সভায় খাগড়াছড়ির নবম উপজেলা হিসেবে গুইমারাকে অনুমোদন দেওয়া হয়। দীর্ঘ ১০ বছর পার হলেও এ উপজেলায় নির্মাণ হয়নি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন। যার ফলে সেবা প্রদান থেকে বঞ্চিত হচ্ছে গুইমারাবাসীরা।

অন্যদিকে, গুইমারা থাকা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গুলোতে নেই জনবল এবং ডাক্তার কোনটিই। এ উপজেলার ৫৫ হাজার জনগন, স্থানীয় ঔষধ ব্যবসায়ীর কাছে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ সুযোগে ঔষধ বিক্রির লোভে অতিরিক্ত ঔষধ, এন্টিবায়োটিক, ভুল চিকিৎসায় অনেকের স্থায়ী অঙ্গহানির শিকার হয়ে অনেকেই মৃত্যুবরণ করছেন। তাই এলাকার মানুষের মৌলিক চাহিদা- দীর্ঘদিনের দাবী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স দ্রুত স্থাপনের।