১০:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫

এপিএস তরিকুলকে ধরতে পারলে সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালেদ মাহমুদ চৌধুরীকে পাওয়া যাবে!

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট: ০৫:২৩:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ নভেম্বর ২০২৫
  • / ৫৯

বিশেষ প্রতিবেদক :
মোঃ তরিকুল ইসলাম, পিতাঃ আব্দুল হাকিম, মাতাঃ আকলিমা বেগম, জাতীয় পরিচয়পত্র নং ২৭১২১২৭৮৭৯৯২০,টিন নং ৭৮৯৯৫৭৫৭০১৩০। গ্রামঃ ছাতইল, মোল্লাজীপাড়া, থানা: বোচাগঞ্জ, জেলাঃ দিনাজপুর। বর্তমান ঠিকানাঃ ১০১৬ পূর্ব শেওড়াপাড়া,মিরপুর,ঢাকা। তিনি দীর্ঘদিন যাবত সাবেক নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালেদ মাহমুদ চৌধুরীর এপিএস ছিলেন। তার মাধ্যমেই প্রতিমন্ত্রী খালেদ মাহমুদ চৌধুরী পারসেন্টেস বা ঘুস আদায় করতেন। এমন কি তিনি বিদেশে (লন্ডনে থাকা তার স্ত্রী সন্তানের কাছে) যত টাকা পাচার করতেন তার বাহক ছিলেন এই এপিএস মোঃ তরিকুল ইসলাম।

আরো জানাগেছে, তরিকুল ইসলামের মাধ্যমেই বিআইডব্লিউটিসি, বিআইডব্লিউটিএ, নৌপরিবহন অধিদপ্তর,চট্রগ্রাম বন্দরের সমস্ত প্রকার কেনাকাটা,টেন্ডার,ও নিয়োগ বদলী করা হতো। ফলে এই এপিএস মাত্র ৫ বছরেই শত কোটি টাকা ও সম্পদের মালিক বনে গেছেন। বিআইডব্লিউটিএর ড্রেজার বিভাগের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন এই এপিএস।

এছাড়া ড্রেজার বিভাগের একজন প্রকৌশলীকে চীফ ইঞ্জিনিয়ার পদে বসাত প্রতিমন্ত্রী ও সচিবের নামে ৬ কোটি টাকা ঘুস নিয়েছেন বলে জানাগেছে। এসব টাকায় তিনি নিজ এলাকায় শত বিঘা জমি ক্রয় করেছেন। ঢাকায় ৭/৮ টি ফ্ল্যাট কিনে ভাড়া দিয়েছেন।

সম্প্রতি তিনি ৭৫ লাখ টাকায় ১৬৭৭ বর্গ ফুটের একটি ফ্ল্যাট ক্রয় করেছেন ঢাকা মিরপুরের পূর্ব শেওড়া পাড়ায়। ফ্ল্যাটের মালিকের নাম: শারমিন সুলতানা নারগিস। হোল্ডিং নম্বর ১০১৩ পূর্ব শেওড়া পাড়া,মিরপুর,ঢাকা। ৫০ লাখ টাকা নগদ প্রদান করে বায়নানামাও রেজিস্ট্রার করেছেন।তার বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ আছে যে, তিনি প্রতিমন্ত্রী খালেদ মাহমুদ চৌধুরীর বাসার কাজের মেয়েকে নিয়মিত ধর্ষণ করতেন। পরে মেয়েটা গর্ভবতী হয়ে পড়লে জোরপূর্বক গর্ভপাত করানো হয়। সেই ঘটনা প্রতিমন্ত্রীর স্ত্রী জেনে গিয়ে তাকে এপিএসের চাকরী থেকে বরখাস্তকরেন।

৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলেই প্রতিমন্ত্রী খালেদ মাহমুদ চৌধুরী আত্মগোপনে চলে যান। তবে তার সমস্ত সম্পত্তি ও ব্যবসা বাণিজ্য দেখভাল করার দায়িত্ব দেন এপিএস তরিকুল ইসলামকে। সেই থেকে আজ প্রায় তিন মাস তরিকুল ইসলাম সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালেদ মাহমুদ চৌধুরীর সম্পদ পাহারা দিচ্ছেন। এখনো প্রতিদিন পলাতক প্রতিমন্ত্রী খালেদ মাহমুদ চৌধুরীর সাথে ফোনে যোগাযোগ করেন তরিকুল ইসলাম। তাকে গ্রেফতার করা গেলে পলাতক খালেদ মাহমুদ চৌধুরীর সন্ধান পাওয়া যাবে অনেকেই মনে করছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

বিজ্ঞাপন: ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট এর জন্য যোগাযোগ করুন: ০১৮২৪৯০৯০১০
বিজ্ঞাপন: ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট এর জন্য যোগাযোগ করুন: ০১৮২৪৯০৯০১০

এপিএস তরিকুলকে ধরতে পারলে সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালেদ মাহমুদ চৌধুরীকে পাওয়া যাবে!

আপডেট: ০৫:২৩:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ নভেম্বর ২০২৫

বিশেষ প্রতিবেদক :
মোঃ তরিকুল ইসলাম, পিতাঃ আব্দুল হাকিম, মাতাঃ আকলিমা বেগম, জাতীয় পরিচয়পত্র নং ২৭১২১২৭৮৭৯৯২০,টিন নং ৭৮৯৯৫৭৫৭০১৩০। গ্রামঃ ছাতইল, মোল্লাজীপাড়া, থানা: বোচাগঞ্জ, জেলাঃ দিনাজপুর। বর্তমান ঠিকানাঃ ১০১৬ পূর্ব শেওড়াপাড়া,মিরপুর,ঢাকা। তিনি দীর্ঘদিন যাবত সাবেক নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালেদ মাহমুদ চৌধুরীর এপিএস ছিলেন। তার মাধ্যমেই প্রতিমন্ত্রী খালেদ মাহমুদ চৌধুরী পারসেন্টেস বা ঘুস আদায় করতেন। এমন কি তিনি বিদেশে (লন্ডনে থাকা তার স্ত্রী সন্তানের কাছে) যত টাকা পাচার করতেন তার বাহক ছিলেন এই এপিএস মোঃ তরিকুল ইসলাম।

আরো জানাগেছে, তরিকুল ইসলামের মাধ্যমেই বিআইডব্লিউটিসি, বিআইডব্লিউটিএ, নৌপরিবহন অধিদপ্তর,চট্রগ্রাম বন্দরের সমস্ত প্রকার কেনাকাটা,টেন্ডার,ও নিয়োগ বদলী করা হতো। ফলে এই এপিএস মাত্র ৫ বছরেই শত কোটি টাকা ও সম্পদের মালিক বনে গেছেন। বিআইডব্লিউটিএর ড্রেজার বিভাগের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন এই এপিএস।

এছাড়া ড্রেজার বিভাগের একজন প্রকৌশলীকে চীফ ইঞ্জিনিয়ার পদে বসাত প্রতিমন্ত্রী ও সচিবের নামে ৬ কোটি টাকা ঘুস নিয়েছেন বলে জানাগেছে। এসব টাকায় তিনি নিজ এলাকায় শত বিঘা জমি ক্রয় করেছেন। ঢাকায় ৭/৮ টি ফ্ল্যাট কিনে ভাড়া দিয়েছেন।

সম্প্রতি তিনি ৭৫ লাখ টাকায় ১৬৭৭ বর্গ ফুটের একটি ফ্ল্যাট ক্রয় করেছেন ঢাকা মিরপুরের পূর্ব শেওড়া পাড়ায়। ফ্ল্যাটের মালিকের নাম: শারমিন সুলতানা নারগিস। হোল্ডিং নম্বর ১০১৩ পূর্ব শেওড়া পাড়া,মিরপুর,ঢাকা। ৫০ লাখ টাকা নগদ প্রদান করে বায়নানামাও রেজিস্ট্রার করেছেন।তার বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ আছে যে, তিনি প্রতিমন্ত্রী খালেদ মাহমুদ চৌধুরীর বাসার কাজের মেয়েকে নিয়মিত ধর্ষণ করতেন। পরে মেয়েটা গর্ভবতী হয়ে পড়লে জোরপূর্বক গর্ভপাত করানো হয়। সেই ঘটনা প্রতিমন্ত্রীর স্ত্রী জেনে গিয়ে তাকে এপিএসের চাকরী থেকে বরখাস্তকরেন।

৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলেই প্রতিমন্ত্রী খালেদ মাহমুদ চৌধুরী আত্মগোপনে চলে যান। তবে তার সমস্ত সম্পত্তি ও ব্যবসা বাণিজ্য দেখভাল করার দায়িত্ব দেন এপিএস তরিকুল ইসলামকে। সেই থেকে আজ প্রায় তিন মাস তরিকুল ইসলাম সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালেদ মাহমুদ চৌধুরীর সম্পদ পাহারা দিচ্ছেন। এখনো প্রতিদিন পলাতক প্রতিমন্ত্রী খালেদ মাহমুদ চৌধুরীর সাথে ফোনে যোগাযোগ করেন তরিকুল ইসলাম। তাকে গ্রেফতার করা গেলে পলাতক খালেদ মাহমুদ চৌধুরীর সন্ধান পাওয়া যাবে অনেকেই মনে করছেন।