১০:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫

আমরা ছিলাম কসাইখানায়’: ইসরাইলি কারাগার থেকে মুক্ত ফিলিস্তিনিদের বর্ণনায় ভয়াবহ অভিজ্ঞতা

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট: ১২:১৩:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
  • / ১০২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বর্তমান কথা

“আমরা কসাইখানায় ছিলাম, কোনো কারাগারে না।”
এমনই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানালেন ইসরাইলি কারাগার থেকে সদ্য মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনি আব্দাল্লাহ আবু রাফে।

সোমবার (১৩ অক্টোবর) মুক্তি পাওয়ার পর তিনি বলেন,

“দুর্ভাগ্যবশত আমরা ‘ওফার কারাগার’ নামে এক কসাইখানায় ছিলাম। অনেক তরুণ এখনো সেখানে বন্দি।”

তিনি জানান, ইসরাইলি কারাগারগুলোর অবস্থা অত্যন্ত ভয়াবহ।

“সেখানে কোনো গদি নেই, যা ছিল সেটিও কেড়ে নেওয়া হয়েছে। খাবারের অবস্থাও শোচনীয়। সবকিছুই সেখানে খুব কঠিন।”

মুক্তির অনুভূতি সম্পর্কে রাফে বলেন,

“অসাধারণ এক অনুভূতি।”

মুক্তি পাওয়া আরেক ফিলিস্তিনি ইয়াসিন আবু আমরা বলেন,

“ইসরাইলি কারাগারের অবস্থা অত্যন্ত, অত্যন্ত খারাপ। খাবার, নির্যাতন, মারধর—সবকিছুই ভয়াবহ ছিল। আমি টানা চার দিন কিছু খাইনি। এখানে আমাকে দুটি মিষ্টি দেওয়া হয়েছে, আমি সেগুলো খেয়েছি।”

আরেক মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দি সাঈদ শুবাইর বলেন,

“এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। কারাবন্দি না হয়ে সূর্য দেখা—এ এক অবর্ণনীয় অনুভূতি। আমার হাত এখন শৃঙ্খলমুক্ত। স্বাধীনতা অমূল্য।”

প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোমবার ইসরাইল প্রায় ২৫০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে, যারা আজীবন বা দীর্ঘ মেয়াদি সাজা ভোগ করছিলেন।
এছাড়া গাজা যুদ্ধ চলাকালে আটক করা আরও প্রায় ১,৭১৮ জনকেও মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
জাতিসংঘের তথ্যে বলা হয়েছে, এদের অনেকেই ছিল ‘জোরপূর্বক গুমকৃত’ ব্যক্তি হিসেবে তালিকাভুক্ত।

Please Share This Post in Your Social Media

বিজ্ঞাপন: ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট এর জন্য যোগাযোগ করুন: ০১৮২৪৯০৯০১০
বিজ্ঞাপন: ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট এর জন্য যোগাযোগ করুন: ০১৮২৪৯০৯০১০

আমরা ছিলাম কসাইখানায়’: ইসরাইলি কারাগার থেকে মুক্ত ফিলিস্তিনিদের বর্ণনায় ভয়াবহ অভিজ্ঞতা

আপডেট: ১২:১৩:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বর্তমান কথা

“আমরা কসাইখানায় ছিলাম, কোনো কারাগারে না।”
এমনই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানালেন ইসরাইলি কারাগার থেকে সদ্য মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনি আব্দাল্লাহ আবু রাফে।

সোমবার (১৩ অক্টোবর) মুক্তি পাওয়ার পর তিনি বলেন,

“দুর্ভাগ্যবশত আমরা ‘ওফার কারাগার’ নামে এক কসাইখানায় ছিলাম। অনেক তরুণ এখনো সেখানে বন্দি।”

তিনি জানান, ইসরাইলি কারাগারগুলোর অবস্থা অত্যন্ত ভয়াবহ।

“সেখানে কোনো গদি নেই, যা ছিল সেটিও কেড়ে নেওয়া হয়েছে। খাবারের অবস্থাও শোচনীয়। সবকিছুই সেখানে খুব কঠিন।”

মুক্তির অনুভূতি সম্পর্কে রাফে বলেন,

“অসাধারণ এক অনুভূতি।”

মুক্তি পাওয়া আরেক ফিলিস্তিনি ইয়াসিন আবু আমরা বলেন,

“ইসরাইলি কারাগারের অবস্থা অত্যন্ত, অত্যন্ত খারাপ। খাবার, নির্যাতন, মারধর—সবকিছুই ভয়াবহ ছিল। আমি টানা চার দিন কিছু খাইনি। এখানে আমাকে দুটি মিষ্টি দেওয়া হয়েছে, আমি সেগুলো খেয়েছি।”

আরেক মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দি সাঈদ শুবাইর বলেন,

“এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। কারাবন্দি না হয়ে সূর্য দেখা—এ এক অবর্ণনীয় অনুভূতি। আমার হাত এখন শৃঙ্খলমুক্ত। স্বাধীনতা অমূল্য।”

প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোমবার ইসরাইল প্রায় ২৫০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে, যারা আজীবন বা দীর্ঘ মেয়াদি সাজা ভোগ করছিলেন।
এছাড়া গাজা যুদ্ধ চলাকালে আটক করা আরও প্রায় ১,৭১৮ জনকেও মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
জাতিসংঘের তথ্যে বলা হয়েছে, এদের অনেকেই ছিল ‘জোরপূর্বক গুমকৃত’ ব্যক্তি হিসেবে তালিকাভুক্ত।